আমুদরিয়া নিউজ : শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে মানুষ বা অন্য প্রাণীর ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব কিংবা বমির উদ্রেক হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই বমিই আবার হয়ে ওঠে মূল্যবান। এমন এক প্রাণী রয়েছে, যার বমির মূল্য কোটি টাকা। এতক্ষণে নিশ্চয়ই চোখ কপালে উঠেছে? হ্যাঁ, মানুষ নয়। তবে স্তন্যপায়ী এই প্রাণীর মহা মূল্যবান বমি থেকেই তৈরি হয় তীব্র সুগন্ধী।
কোন সে প্রাণী? বাংলায় বললে তিমি। তবে বিশিষ্ট প্রজাতি উল্লেখ করে বলা যায় স্পার্ম হোয়েল। এই স্পার্ম হোয়েলের অপাচ্য খাবার যা বমি হিসেবে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে, তাকে বলা হয় ‘অ্যাম্বারগ্রিস’। এই ফ্রেঞ্চ শব্দের অর্থ হল বাদামী রঙের মোমযুক্ত পদার্থ। বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, স্পার্ম হোয়েল যখন শক্ত ও ধারালো কিছু খাবার হিসেবে গ্রহণ করে, তা হজম করতে পারে না। জলেই বমি করে ফেলে। আর তা ভাসতে ভাসতে পৌঁছে যায় সমুদ্রের উপত্যকায়। এই বমির জন্য বিখ্যাত হল আরবের ওমান।
সোনার থেকেও মূল্যবান ‘অ্যাম্বারগ্রিস’। একে ভাসমান সোনা বা সমুদ্রের গুপ্তধনও বলা হয়। ১ কেজি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি। এত চড়া দামের কারণ হিসেবে বলা চলে, সুগন্ধীর বাজারে এর দারুণ কদর। প্রাচীনকাল থেকেই ঈজিপ্টে এটির ব্যবহার হয়ে আসছে। ট্র্যাডিশনাল ওষুধ তৈরিতেও এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই এত দামী বলেই তিমির বমির সন্ধানে মুখিয়ে থাকে পাচারকারীরা। জ্যান্ত তিমির পেট কেটে এমন খাজানা সুলভ বমি খুঁজে বের করার বিকৃত নজিরও কম নয়। তাই পাচারকারীদের এই বমি পাচার রুখতেই কড়া প্রহরায় থাকে উপত্যকা এলাকা। তিমির বমি ভীষণ দামী!