আমুদরিয়া নিউজ : সালটা ২০০৭। ‘খান’দের রাজত্বে সিনেমাপ্রেমীদের সামনে দুই নবাগত-নবাগতাকে আনার সাহস দেখিয়েছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালি ও ফারহা খান। শানের গানে টাওয়াল ডান্সে ‘প্রিন্স চার্মিং’-এর শরীরী বিভঙ্গ ঝড় তুলেছিল টিভিমুখো ডেঁপো টিনেজ থেকে শুরু করে হুঁকোমুখো উঠতি যুবতীরও। হালের ‘অ্যানিমাল’ অবতারের ধারপাশ না মাড়িয়ে তখন যে নিতান্তই চকোলেট বয় রণবীর কাপুর। হ্যাঁ, সঞ্জয়ের ‘সাওয়ারিয়া’তেই বলিউড অভিষেক হয় পৃথ্বীরাজ কাপুরের চতুর্থ প্রজন্মের। আবার আজকের ‘মাস্তানি’, ‘পিকু’কে ‘এক চুটকি সিন্দুর’-এর মূল্য শেখার তালিম দিয়েছিলেন ফারহা। ছবির নাম ‘ওম শান্তি ওম’। ব্যাডমিন্টন আর মডেলিংয়ের স্ট্রাগল থেকে মুক্ত হয়ে, টোল পড়া গালে মুক্তো ঝরা হাসিতে ‘ড্রিম গার্ল’ হয়ে ওঠেন দীপিকা পাড়ুকোন।
আজ ৯ই নভেম্বর সাবালক হল দুটি ছবিই। সেইসাথে ১৭ বছর পূরণ হল রণবীর-দীপিকার বলিউড সফর। এই নিয়েই নির্মাতারা শেয়ার করলেন দুই ছবির আইকনিক মোমেন্টস।
রাতের নিস্তব্ধতায়, চাঁদের আলোর তলে, মিলে যায় দুটি মন- ঠিক কবিতার মতই ছিল ‘সাওয়ারিয়া’র গল্প। ভালোবাসার আশাতেই স্বপ্নের যাদুকাঠি ছুঁয়ে যায় তাদের। এখন সমালোচিত হলেও প্রথম ছবিতে ‘রাজ’রূপী রণবীরের সাথে ‘সাকিনা’ সোনমের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি ভোলার নয়। বরাবরই দৃশ্যায়নে নান্দনিকতায় জাত চিনিয়েছেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। এই ছবি জুড়ে রয়েছে রাতের স্বর্গীয় সৌন্দর্য। ফিওদর দস্তয়েভস্কির ‘হোয়াইট নাইটস’-এর কাহিনী অবলম্বনে তৈরি এ ছবি ফ্লপ হলেও এখনও স্পটিফাইতে হিট লিস্টে ‘জবসে তেরে নয়না’, ‘থোড়ে বদমাশ’ কিংবা ‘ইউ শবনামি’, ‘মাশা আল্লাহ’ আর ‘সাওয়ারিয়া’ টাইটেল ট্র্যাক।
অন্যদিকে স্বপ্নসুন্দরী শান্তিপ্রিয়ার প্রেমে বিভোর জুনিয়র আর্টিস্ট ‘ওমি’। হৃদয়ভঙ্গ, পুনর্জন্ম, প্রতিশোধের গল্প নিয়ে আশির দশকের বলিউডের প্রেক্ষাপটে ‘ওম শান্তি ওম’ তৈরি করেন ফারহা খান। এখন ‘ক্রিঞ্জ’ আর ‘ক্লিশে’ মনে হলেও ব্লকব্লাস্টার হয় এই ছবি। মানুষ মুগ্ধ শ্রোতার মত আজও শোনে ম্যা অগর কহুঁ, আখো মে তেরি, কিংবা মাল্টিস্টারার পার্টি সং কাম টাইটেল ট্র্যাক ‘দিওয়াঙ্গি’।
প্রেম ‘নিঃস্বার্থ’ হয় কি? প্রত্যাশা না রেখেই ভালোবেসে যাওয়া কিংবা ভালোবাসলে একইসাথে পথচলা- এই দুইয়ের টানাপোড়েনে প্রেম আসলে কী? ১৭ বছর আগের সেই রণবীর আজ রাহার বাবা, বায়ুর মা হয়েছেন সোনম আর দীপিকার কোল জুড়ে হাসছে, খেলছে দুয়া। তবু সেই নিঃস্বার্থ প্রেমের জেরেই এখনও ‘রাজ’, ‘সাকিনা’, ‘শান্তিপ্রিয়া’কে মনে রেখে তাঁদের বয়স বাড়তে দেননি সিনেপ্রেমী দর্শকরা।