আমুদরিয়া নিউজ : প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কোনমতেই রান্না করা হবে না। তা বাড়িতে হোক বা রেস্তোরাঁ। বিশ্ব খাদ্য দিবসের স্লোগন হোক এটাই। তা হলে খাবার নষ্ট হবে না। মনে রাখতে বিশ্বের কয়েকটি কোটি মানুষ রোজ খেতে পায় না। না খেয়ে মারা যায় কয়েক লক্ষ মানুষ। তাই খাদ্য দিবসে এই শপথ নেওয়ার কথা বলেন সমাজমনস্ক সকলেই।
আমাদের বেঁচে থাকার কিছু মৌলিক চাহিদা হল বাতাস এবং জল। তার পরে খাদ্য হল মানুষের তৃতীয় মৌলিক চাহিদা। প্রত্যেকেরই পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটার কথা মাথায় রেখেই প্রতিবছর ১৬ই অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস।
১৯৭৯ সালের নভেম্বর মাসে হাঙ্গেরির প্রাক্তন কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ডক্টর পাল রোমানির পরামর্শে বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন শুরু হয়। সকল মানুষকে খাদ্য উৎপাদন কিভাবে করা উচিত অপুষ্টি কি আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানো হতো ও সচেতনতা করানোর চেষ্টা করা হত।ধীরে ধীরে এটি ক্ষুধা, অপুষ্টি, এবং খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি উপায় হয়ে ওঠে।
বিশ্ব খাদ্য দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) জানিয়েছে, এখনকার দিনে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গভীর বৈষম্য এবং অবিচারের শিকার। সারা বিশ্বে কমপক্ষে ২০ কোটি মানুষ পেট ভরে খেতে পান না।
এফএওয়ের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকলেও বিপুল পরিমাণ খাদ্য নষ্ট করা হয়। উৎপাদন বা পরিবহনের সময়েই বিপুল পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া বাড়ির রান্নাঘরে, খুচরো বিক্রেতা বা রেস্তোরাঁগুলিতে ডাস্টবিনে অতিরিক্ত খাবার ফেলে দেওয়া হয়। ফলে পরিবেশেও কুপ্রভাব পড়ে। খাদ্য বর্জ্য থেকে মিথেনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরি হয়। এটা রুখতে সমাজের সকলের প্রচেষ্টার প্রয়োজন। এফএওয়ের মতে, একা চেষ্টা করে হবে না। সকলে মিলে পদক্ষেপ করতে হবে। প্রত্যেকের কাছে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাবার থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোনমতেই খাবার নষ্ট করা চলবে না।
Leave a Comment