সূত্রপাত : তেলেঙ্গানার পরিবেশ ও বনমন্ত্রী কোনডা সুরেখার অভিযোগ, নাগা চৈতন্যের ডিভোর্সের জন্য কেটিআর একশো শতাংশ দায়ী। নাগাদের পরিবারের একটি কনভেনশন হল ভেঙে ফেলার কথা চলছিল। সে সময়ে ওই পরিবারকে শর্ত দেওয়া হয়, সামান্থাকে কেটিআরের কাছে পাঠালে কনভেনশন হল ভাঙা হবে না। সামান্থা তাতে রাজি হননি। তার পরেই ডিভোর্স হয়।
চিরঞ্জীবি বলেছেন, একজন সম্মানীয় মহিলা মন্ত্রীর মুখে এমন অমর্যাদাসূচক মন্তব্য শুনে আমি ব্যথিত। সেলেবরাই যেন এখন সফট টার্গেট। গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।
জুনিয়র এনটিআর বলেছেন, কোনডা সুরেখা একজন দায়িত্বশীল মহিলা মন্ত্রী। কিন্তু এমন বেসলেস কথা বললে তা মানা সম্ভব নয়। আমরা সমবেতভাবে প্রতিবাদ করে বুঝিয়ে দেব, সিনেমা তারকাদের নিয়ে, তাঁদের পরিবার নিয়ে যা খুশি বললে মেনে নেওয়া হবে না।
আল্লু অর্জুন : আমি কোনডা সুরেখার ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র নিন্দা করছি। এই সব কথাবার্তা তেলেগু সিনেমার সকলের প্রতি অমর্যাদাকর। বিশেষত, মহিলাদের প্রতি বেশি অবমাননাকর।
ননী : এসব ননসেন্স কথাবার্তা। আমরা সকলে মিলে প্রতিবাদ না করলে আমাদের নির্বোধ ভাবা হবে। সকলে মিলে একজোট হয়ে এ সব বন্ধ করাতে হবে।
সুধীর বলেছেন, এভাবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে নিচু করা যাবে না। মন্ত্রী মহোদয়া আপনি গোটা তেলেঙ্গনার অপমান করেছেন।
লক্ষ্মী বলেছেন, আমরা যে কাচের ঘরে বাস করি সেটা আবার বোঝা গেল। না হলে এভাবে মহিলাদের নামে যা খুশি বলা যায়। এ ধরনের কথা ব্যাথা, যন্ত্রণা বেশি হয়, যখন একজন মহিলা কুমন্তব্য করেন।
প্রকাশ রাজ : নির্লজ্জ রাজনীতি। সবাই মিলে বুঝিয়ে দিতে হবে এবার।
চাপের মুখে পড়ে সামান্থার কাছে ক্ষমা চাইলেন তেলেঙ্গনার পরিবেশ মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা। বৃহস্পতিবার তিনি কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশের পরে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়েছেন।