আমুদরিযা নিউজ : এমন মনোরম পরিবেশ কালীবাড়ি এ দেশে কটা আছে! শিলিগুড়ির অদূরে সেবকের কালীমন্দিরে যাঁরা গেছেন, তাঁদের অনেকেই মনে করেন, দেশে এমন মন কেড়ে নেওয়া পরিবেশে কালীমন্দির আর নেই। একদিকে তিস্তা বয়ে চলেছে। পাশে মহানন্দা অভয়ারণ্য। কখনও হাতির পালের আনাগোনা তিস্তার ধারে। মন্দিরের উপরে, চারপাশে থাকা গাছে দোল খায় বাঁদরের পাল। হরিণেরা ছুটোছুটি করে সন্ধে নামলেই।
সংক্ষেপে এই হল সেবক পাহাড়চূড়ার কালীমন্দির।
প্রতি বছর মায়ের টানে দূর দূরান্ত থেকে সেবক পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এমন সেবকেশ্বরী মাকে পুজো দিতে ছুটে আসেন ভক্তরা। নিত্য পুজোর পাশাপাশি শ্যামা পূজোর সময় বাৎসরিক পুজোতে মেতে ওঠে সকলে।
উত্তরবঙ্গ তো বটেই, কালীপুজোর সময় মাকে পুজো দিতে এবং মায়ের দর্শনের জন্য দক্ষিণবঙ্গ এমনকী সিকিম, বিহার ছাড়াও ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন এখানে।
বহুদিন ধরেই এখানে কালীপুজোর সময় পাঁঠাবলির প্রথা ছিল। তবে গত বছর থেকে এই বলি প্রথা বন্ধ হয়ে গেছে। পাঁঠাবলির বদলে এখন বিভিন্ন ধরনের ফল বলি দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে দেওয়া হয়েছিল চাল কুমড়ো বলি। এ বছরও তাই করা হবে বলে জানা গেছে।
সেবক মন্দিরের সেবায়েত নন্দকিশোর গোস্বামী বলেন, “আমরা তিনজন পুরোহিত মায়ের সেবা করি। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভক্তরাও মায়ের উদ্দেশ্যে নানা রকম ফল বলি দিতে পারবেন। এবছর মায়ের পুজোর প্রসাদে থাকছে পায়েস, খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা সহ আরো নানান কিছু। এ ছাড়াও মায়ের প্রসাদে থাকছে বোয়াল মাছ। যা প্রতিবার থাকে।
প্রতিবছর কালীপুজোর সময় প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় এই সেবকেশ্বরী কালী মন্দিরে। এখানকার দেবী দক্ষিণাকালী। প্রতি অমাবস্যায় এই দক্ষিণাকালী পুজো হয়ে থাকে। বাৎসরিক কালীপুজো হয় দীপাবলী অমাবস্যায়। আর তারই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। মনে করা হয় এই মন্দিরে ভক্তদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন মা।
প্রতিবেদক : ঋতু রায়