আমুদরিয়া নিউজ : দীপান্বিতা অমাবস্যায় খুব ঘটা করে পুজো হল মদনমোহন মন্দিরের বড় তারা মায়ের। ঠিক একইভাবে সমস্ত রীতি মেনে করুণাময়ী ও দয়াময়ী মায়ের পুজো হল বেনারসে। কোচবিহার থেকে বেনারসের দূরত্ব ৮০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। তবে এই দূরত্ব ঘুচিয়ে ঐতিহ্যের দুই শহর কোচবিহার ও বেনারসের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয়েছে কালীপুজোকে কেন্দ্র করে। দুই জায়গাতেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন কোচবিহারের মহা রাজারা। সেই রাজরীতি মেনেই এখনও পুজো হয় উত্তর প্রদেশের বেনারসের কোচবিহার কালীবাড়িতে। এই পুজোর দায়িত্বে রয়েছে দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড।
ইতিহাসবিদদের থেকে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণ কালীসাধক ছিলেন। তিনি তীর্থ করতে গিয়ে বেনারসে কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই কাজ শুরুও হয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়। তার অপূর্ণ কাজ শেষ করেন ছেলে শিবেন্দ্র নারায়ণ। জানা গেছে, শিবেন্দ্র নারায়ণের আমলে ১৮৪৬ সালে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বেনারসের সোনারপুরে কালী মন্দির স্থাপিত হয়। মন্দিরের পাশাকাশী মহারাজা সেখানে বসত বাড়ি ও সত্র তৈরি করেছিলেন। মন্দিরে প্রতিদিন করুণাময়ী ও দয়াময়ীর পুজো হয়। বর্তমানে মন্দিরটি দেবত্র ট্রাস্ট পরিচালনা করে। দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে রীতি মেনে নিষ্ঠা সহকারে একদিকে যেমন কোচবিহারে বড় তারা মায়ের পুজো হয় তেমন বেনারসের কালী মন্দিরেও নিষ্ঠা সহ মহা সমারোহে পুজিত হন মা করুণাময়ী ও দয়াময়ী।
Leave a Comment