আমুদরিয়া নিউজ : জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বুনো হাতির পালের হানাদারি। এদের হানাদারিতে অতিষ্ঠ জঙ্গল লাগোয়া মানুষজন। কুমারগ্রাম ব্লকের বেশীরভাগ এলাকাতেই বুনো হাতির হানাদারি প্রতিনিয়ত চলছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে জঙ্গল থেকে চার পাঁচ কিলোমিটার দূরের গ্রামগুলিতে চলে আসছে হাতির পাল। বন দপ্তরের কর্মীরা এদের সামলাতে নাজেহাল। জঙ্গল ও লোকালয়ের সীমানা বরাবর বৈদ্যুতিক ফেন্সিং লাগিয়েও হাতির পালের হানা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। হাতিরা এতটাই বুদ্ধিমান ও বেপরোয়া যে এরা খুঁটি দিয়ে দেওয়া বৈদ্যুতিক ফেন্সিং এর ঊপর গাছের ডাল ছুঁড়ে মেরে তার ছিড়ে ফেলে বিদ্যুৎ পরিবাহী ফেন্সিং অকেজো করে বাইরে বেরিয়ে আসে। বন কর্মীরা যদি উত্তরদিক বরাবর নজরদারিতে থাকে ওরা দক্ষিন দিক দিয়ে বেরিয়ে আসে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
হাতিদের হানাদারির হাত থেকে জমির ফসল সহ বাড়িঘর রক্ষা করতে কুমারগ্রাম ব্লকের বারোবিশা রাধানগর বিটের জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা এক অভিনব ফেন্সিং লাগাচ্ছেন লোকালয় ও জঙ্গলের সীমানা বরাবর। তারা জানান উঁচু উঁচু গাছ থেকে তার ঝুলিয়ে তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। হাতিরা ঝুলন্ত তার ছিড়তে পারছেনা। এই ঝুলন্ত ফেন্সিং লাগিয়ে হাতির পালের হানাদারি আগের থেকে অনেকটাই কমানো হিয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। বন দপ্তরের ভল্কা রেঞ্জের রেঞ্জার প্রভাত কুমার বর্মন জানান পরীক্ষামূলক ভাবে বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে এধরনের ফেন্সিং লাগানো হয়েছে। এই ফেন্সিং এর ফলে বুনো হাতির পালের হানাদারি প্রতিরোধ সম্ভব হলে জঙ্গল ও লোকালয়ের সীমানা বরাবর এধরনের ফেন্সিং আরও লাগানো হবে।
সুকুমার রঞ্জন সরকার, কুমারগ্রাম