আমুদরিয়া নিউজ : সারা বছরে একবারই তো হোলি। কাজেই ঘরে খিল এঁটে বসে থাকার দরকারি কি! মনমতো বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেতে উঠুন হোলিতে। রং খেলুন, রং দিন।
এতে মন ভাল হবে। মেজাজ ভাল হতে পারে। এমনই বলছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই আবির খেলায় আমাদের মন যে শুধু ভালই হয় তা কিন্তু নয়, বরং অনেক বড় বড় মানসিক রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয় এই রঙের উৎসবটি।
একজন মনোবিজ্ঞানী জানান, হোলি খেলায় অংশ নিলে ক্লান্তি কেটে যেতে পারে। অনেকটা দৈনন্দিন ব্যস্তা থেকে ছুটি নেওয়ার মতো. অনেকটা মোবাইল ফোনের রিস্টার্ট অথবা রিবুট সুইচে মত। যা মাথা থেকে ট্রাশ দূর করে দেয়। এই দুটো দিনে বড়রাও সকলের সাথে হোলি খেলে নিজের ছোটবেলাকে খুঁজে পায়। উজ্জ্বল ওই রঙিন আবির গুলো সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে। আর এই আনন্দটাই অনেককে মানসিক অসুখ থেকে সারিয়ে তোলে।
হোলি মানুষকে রঙ লাগানো, এবং মজার মাধ্যমে স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রকাশ করার সুযোগ দেয়। এটি আমাদের ব্যস্ত জীবন থেকে একটি বিরতি দেয় যা আমাদের সাময়িকভাবে আমাদের চিন্তা ভুলে আনন্দকে উপভোগ করার সুযোগ দেয়।
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ জানান, রঙ এবং উৎসবের মেজাজের সাথে হোলি মানুষের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করে মানসিক সুস্থতা বয়ে আনে। এই উৎসব ব্যক্তিদের স্বাধীনভাবে আবেগ প্রকাশ করতে, অতীতের কোনও রাগ বা কষ্ট ভুলে যেতে সাহায্য করে।
পারমিতা রায়ের মতো অনেকেই জানান, তাঁরা সারা বছর ধরে হোলির জন্য অপেক্ষা করেন। হোলি খেলে তিনি তাঁর ছোটবেলাকে খুঁজে পান। এমন পাগলের মত হোলি খেলা তাঁর জন্য ক্ষতিকর কিনা তিনি সেটা জানেন না কিন্তু এই উৎসব তাকে ভীষণ আনন্দ দেয়। শিলিগুড়ির নামী এক নৃত্যশিল্পী জানান, দোলের দিন নাচগান করে আবির খেললে শরীর ও মন দুই ফুরফুরে হয়।
হোলি দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি দূর করে মানুষকে আনন্দে ডুবে থাকতে উৎসাহিত করে।
সামাজিক বন্ধনকেও জোরদার করে এই হোলি। হোলি কেবল একটি উৎসব নয়, এটি হাসি, মানবিক বন্ধন এবং আনন্দের ওষুধ। এটা মেশিন ও ডাক্তার ছাড়াই এমন এক থেরাপি যা আপনার মনকে ফুরফুরে করে তুলবে। তাই এই হোলিতে, চিন্তা ভুলে আনন্দের রঙে ডুবে যান। নিজেকে এবং নিজের আশেপাশের সকলকে রঙিন করে তুলুন।