আমুদরিয়া নিউজ : পবিত্র রামনবমীর অন্যরকম স্বাদ পেতে দেশের বাইরে কোন কোন জায়গায় কিভাবে এই দিনটি উদযাপিত হবে জানতে মন চাইলে একদম নিশ্চিন্ত থাকুন। আমরা আপনাদের এমনই ৫ টি বিশেষ জায়গায় কথা জানাব, যেখানে গেলে আপনি বুঝতেই পারবেননা যে আপনি বিদেশে বসে রামনবমী উদযাপন করছেন।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ভারতীয় প্রবাসীরা রামনবমী উদযাপন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রামগীতি গাওয়া এবং প্রদীপ জ্বালানোর মাধ্যমে সেখানের অধিবাসীরা মন্দিরগুলিতে জড়ো হয়ে রামের পূজা করেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন ভারতীয় প্রবাসী এবং সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলির সহযোগিতায় সেখানের উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। সেখানের আরেকটি বিশেষত্ব হল ১০ দিন ধরে সেখানের নানান গ্রামের খোলা মাঠে রামলীলার নাটকের আয়োজন করা হয়।
গায়ানা
ত্রিনিদাদের মতো, গায়ানায়ও হিন্দু জনসংখ্যা বেশি এবং তারা রামনবমীকে একটি প্রধান উৎসব হিসেবে পালন করে। নিউ ইয়র্কের গায়ানার মন্দিরগুলিতে রামনবমীর দিন প্রচুর মানুষ ভীড় জমান। নানান জায়গা থেকে হিন্দু তথা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা এসেও এই উৎসবে অংশ নেন।
সুরিনাম
ইন্দো-সুরিনামিদের বিশাল জনসংখ্যার আরেকটি দেশ সুরিনাম, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রামনবমী উদযাপন করে। এখানে সকালে ভগবান রামের পূজার পর বিকেলন বেলা রামায়ন পাঠ, রামায়ণের সাথে সম্পর্কিত নানান নাটক দেখানো হয়। সকলে এক জায়গায় জড়ো হয়ে সেই অনুষ্ঠান গুলি উপভোগ করেন। নাটকের সাথে সাথে রাম সীতা সেজে নাচ, গান প্রভৃতিরও আয়োজন করা হয়।
জামাইকা
জামাইকাতে ক্যারিবীয়ান দ্বীপপুঞ্জের ইন্দো-ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায়ের লোকেরা নিষ্ঠার সাথে রামনবমী পালন করেন। জানা যায়, তাঁদের একটি পুরনো প্রথা রয়েছে যেখানে তাঁদের পূর্বপুরুষেরা মশালের মৃদু আলোয় বসে রামায়ণ পাঠ করতেন। তাঁরা একে অপরকে রাম রাম কিংবা সীতারাম বলে অভিবাদন জানান। আরেকটি বিষয় হল সেখানে বেশির ভাগ ব্যক্তির নাম ভগবান রামের নাম অনুযায়ী রাখা হয়। ১২ দিন ধরে তাঁরা সোহর সঙ্গীত এবং ছঠি উদযাপন করেন।
মরিশাস
ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র মরিশাসে হিন্দু জনসংখ্যার সংখ্যা বেশি। তাঁরা জাঁকজমকভাবে রামনবমীর পবিত্র দিনটি উদযাপন করেন। সেখানে ভারতের শ্রমিকদের বংশধররা রয়েছেন যারা এই দিনটি পূজা পাঠ, ভক্তিমুলক গানবাজনার সাথে পালন করেন।