আমুদরিয়া নিউজ: বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম চালিয়ে নিজেদের অধিকারের আদায়ের জন্য লড়াই করছেন আদিবাসী, উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারাও। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, জল, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মত পরিসেবা এবং কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকার বিরুদ্ধেয় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।
এই তালিকায় অন্যতম নাম যাঁর, তিনি এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি, দ্রৌপদী মুর্মু। তবে তিনি ছাড়াও স্বমহিমায় নিজ সম্প্রদায়ের জ্ঞান, শিল্প এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন আরও অনেক নারী। তাঁদের কয়েকজনের কথা ধারাবাহিকভাবে পড়ুন:
যে আদিবাসী কন্যারা এখন লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত (৪)
৪। তুলসি মুণ্ডা: প্রবল দারিদ্র্যের কারণে হয়নি অক্ষর জ্ঞান। কেওনঝাড়ের খনিতে শিশু শ্রমিক হিসেবে কাটে ছেলেবেলা। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় আদিবাসী শিশুদের নিজের জীবনের অভিশাপ ধেয়ে আসতে দেবেন না। ১৯৬৪ সালে উড়িষ্যায় এক খনি এলাকায় একটি স্কুল শুরু করেন যিনি, তিনি তুলসি মুণ্ডা (তুলসি আপা)। তিনি ১৯৬৪ সালে সারান্ডায় নিজের বাড়ির বারান্দায় স্থানীয় বাচ্চাদের জন্য একটি প্রথাবহির্ভূত স্কুল শুরু করেছিলেন। পরে আদিবাসী বিকাশ সমিতি স্কুল চালু করান।
২০১৯ সালের হিসাবে, এই স্কুল প্রতি বছর প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীদের দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়িয়েছে। ১৯৬৪ সাল থেকে ২০,০০০ এরও বেশি শিশুকে শিক্ষিত করেছেন এবং প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য সরকারকে ১৭ টি স্কুল স্থাপনে সহায়তা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী দিয়েছে।