আমুদরিয়া নিউজ: ইন্টারনেটের যুগে দুনিয়া হাতের মুঠোয় সবার। কেউ তার ব্যবহার করছে নিজের ও অন্যের উন্নতির কাজে। আবার ক্ষমতা হাতে পেয়ে উচ্ছন্নে যাওয়ার নজিরও কম নয়। আখছার এ ধরণের বহু ঘটনাই সামনে আসে। তবে সুযোগের অপব্যবহার না করে তাকে কাজে লাগানোই যে বুদ্ধিমানের কাজ তা আরেকবার প্রমাণ করলো অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মা, সরকারি স্কুলের রাঁধুনি বাবার একমাত্র মেয়ে। সেই মেয়ের স্বপ্ন সিভিল সার্ভেন্ট হবেন। সাংসারিক টানাপোড়েনের কথা মাথায় রেখে কোচিং সেন্টারের তোয়াক্কা না করেই ইন্টারনেট ঘেঁটে আর ইউটিউবের সহযোগিতায় নিজেই শুরু করেন লড়াই। চেষ্টা কখনও বিফল যায় না। সফলতা ছুঁয়ে গেল ওড়িশার বোন্দা আদিবাসী তরুণী বিনি মুরুলিকে। শনিবার সন্ধ্যায় ফল প্রকাশ হয় পরীক্ষার। ৫৯৬ র্যা ঙ্কহোল্ডার হন বিনি।
সূত্রের খবর, বোন্দা সম্প্রদায় থেকে বিনিই প্রথম উচ্চপদের এই চাকরি পেয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে ওড়িশার মালকানগিরির খেমাগুড়ার বাসিন্দা বিনি জানান, বাবা-মায়ের পক্ষে কোচিংয়ের টাকা জোগাড় করা সম্ভব হবে না, তা বুঝতেন। কিন্তু অর্থসংকট কখনই সাফল্যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এটা মেনেই ইউটিউব দেখে প্রস্তুতি শুরু করেন। বোন্দার ঘাটের একটি সরকারি স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন বিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর জেপুরের বিক্রম দেবী কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করেন উদ্ভিদবিদ্যায়। পড়াশোনার খরচা চালাতে কাজ করেছেন একটি আয়ুবের্দিক ওষুধ সংস্থাতেও।
এর আগে ২০২০ সালে প্রথমবার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু পাশ করতে পারেননি। এরপর বিনি বুঝতে পারেন খামতি আরও রয়েছে। সেই থেকে আরও জোরদার হয় লড়াই। মেয়ের এই সাফল্যই যে বোন্দা সম্প্রদায়কে আরও প্রেরণা জোগাবে এই ভেবেই যারপরনাই খুশি বাবা রাম মুরুলি ও মা সুনামালি।