আমুদরিয়া নিউজ : বিমান দুর্ঘটনার ৫৬ বছর পরে এক নিখোঁজ এক যাত্রীর দেহ উদ্ধার হল বরফের স্তূপ থেকে। হিমাচল প্রদেশের রোহতাং পর্বতমালার ঘটনা। বরফাবৃত ওই পাহাড়ে ১৯৬৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি পরিবহণ বিমান কোনও কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে। সেখানে ১০১ জন বায়ুসেনার অফিসার কর্মী ছিলেন। সব দেহ উদ্ধার হয়নি। নিখোঁজদের মধ্যে ছিলেন থমাস চেরিয়ান নামে এক সদ্য বায়ুসেনার অফিসার পদে যোগ দেওয়া যুবক। যাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর তল্লাশি অভিযানে যে চারটি দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে একটি চেরিয়ানের। তাঁর দেহ মোটামুটি অবিকৃত রয়েছে। বুকের ইউনিফর্মের মধ্যে ব্যাচ নম্বরও লেখা রয়েছে। তাঁর বাড়ি কেরলে। ইতিমধ্যেই তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেহটি কেরলে পাঠানো হবে।
প্রায় ১৬০০০ ফুট উচ্চতায় ঢাকা হিমবাহ এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর ডোগরা স্কাউটের নেতৃত্বে পর্বতারোহীরা উদ্ধার করেছেন চারটি দেহ। দিল্লির সামরিক সদর দফতর থেকে বলা হয়েছে, বরফের অনেক নিচে চাপা পড়ে থাকায় তার শরীর প্রায় অক্ষত ছিল। তার ইউনিফর্মের পকেটে তার বুকের নম্বর ছাড়াও তার নামের একটি আংশিকভাবে পোড়া বই ছিল, তাতেই দেহটি শনাক্ত করা গিয়েছে। ২০০৩ সালেই সেনাবাহিনী থমাসের মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু, দেহ উদ্ধার না হওয়ায় মৃত্যু দিবস পরিবারের লোকজন কখনও পালননি করেননি।