আমুদরিয়া নিউজ : ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে গ্রামের সবাই চলে গেলেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত বৃদ্ধা ঘরেই কাঁদছিলেন। সেই খবর পেয়ে তাঁকে পিঠে তুলে প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দেরে পৌঁছে দিয়েছে এক আশা কর্মী। বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনা। আশাকর্মীর নাম শিবানী মণ্ডল। তিনি ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে কর্মরতা।
শুধু ওই বৃদ্ধা নন, ওই দিন সকাল থেকে বিকেল অবধি নাওয়া-খাওয়া ভুলে শিবানী দুজন গর্ভবতী মহিলা ও সাজন বৃদ্ধবৃদ্ধাকে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। যে খবর শোনার পরে শুক্রবার সকালে শিবানীকে ফোন করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কুর্ণিশ জানিয়ে তাঁর সংসারের খবরাখবর নিয়েছেন। তিনি যখন জেনেছেন, শিবানীর নিজের বাড়ি নেই, সংসারে তীব্র অভাব। তা শুনেই প্রশাসনিক অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত শিবানীকে একটি বাড়ি তৈরি দিতে হবে সরকারি প্রকল্পে।
আশাকর্মীদের মধ্যে শিবানীর দায়িত্ব পড়েছিল কেন্দ্রাপাড়ার উপকূলের গ্রাম খাসামুণ্ডার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছনো নিশ্চিত করতে হবে। শিবানী সকাল থেকে সেটা করছিলেন। তিনি যখন দেখলেন একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধা শুয়ে শুয়ে কাঁদছেন, তখন জানতে চান কারণ. বৃদ্ধা তাঁকে বলেন, তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। শিবানী বৃদ্ধাকে পিঠে নিয়ে দেড় কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছে দেন আশ্রয় কেন্দ্রে. যা দেখে অনেকে ছবি তুলে নেন। কেউ কেউ প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন তাঁকে।