আমুদরিয়া নিউজ : ঝাড়খণ্ডের খুন্তি এলাকার এক যুবক নরেশ ভেংরা তামিলনাড়ুর একটি মুরগির মাংসের দোকানে কাজ করত। সে সেখানে মাংস কাটত। এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। তরুণীর সঙ্গে লিভ ইন শুরু করে সেখানে। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডে এসে বিয়ে করে। খুন্তিতে গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী আর তামিলনাড়ুতে লিভ ইন পার্টনারকে নিয়ে চলছিল তার জীবন। এর মধ্যে তামিলনাড়ুর লিভ ইন পার্টনারের সন্দেহ হলে সে যুবককে বলে ঝাড়খণ্ডে যাবে। জোরাজুরির পরে লিভ ইন পার্টনারকে নিয়ে ঝাড়খণ্ডে পৌঁছয় নরেশ। সে তাকে গ্রামের নাম করে জঙ্গলের গভীরে নিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে মাংস কাটার চপার দিয়ে দেহটি টুকরো টুকরো করে জঙ্গলের নানা এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। যাতে জন্তু-জানোয়াররা টুকরোগুলি খেয়ে নেয়। ৮ নভেম্বর খুনের ঘটনা ঘটে।
২৪ নভেম্বর একটি রাস্তার কুকুরের মুখে মানুষের দেহাংশ দেখে বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ পায়। তাতে ওই তরুণীর আধার কার্ড মেলে। এর পরে পুলিশ জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে তরুণীর কিছু দেহাংশ পায়। তামিলনাড়ুতে যোগাযোগ করে পুলিশ নরেশের নাম জানতে পারে। এর পরে নরেশকে জেরা করলে সে খুনের কথা কবুল করে বলে পুলিশের দাবি।