আমুদরিয়া নিউজ ডেস্ক : অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এর সদস্য দেশগুলোতে নারী প্রতি জন্মহার গত ৬০ বছরে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৯৬০ সালে ওই সংগঠনের সদস্য ভুক্ত দেশের নারীরা গড়ে ৩টি সন্তানের জন্ম দিতেন। কিন্তু, ২০২২ সালে সেই সংখ্যা নেমে হয়েছে নারী প্রতি গড়ে ২ জনেরও কম। প্যারিস ভিত্তিক ওই সংগঠনের সাম্প্রতিক প্রকাশিত প্রতিবেদনে এটা জানানো হয়েছে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এর 38টি সদস্য দেশ রয়েছে,
যার মধ্যে রয়েছে:
অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, চেকিয়া, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইসরায়েল, ইতালি, জাপান, কোরিয়া, রিপ, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ , মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এই জন্মহার কমায় সংগঠনের সদস্য দেশগুলি উদ্বিগ্ন। তাই সংগঠনটি সতর্ক করে বলেছে, কম জন্মহারের মারাত্মক অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিণতি হতে পারে। ওইসিডির মতে, জনসংখ্যা যে স্তরে স্থির রাখা দরকার তা হল প্রতি মহিলা অন্তত ২ জন শিশুর জন্ম দিলে সেটা ভারসাম্য রাখবে। নিম্ন হার একটি ক্রমবর্ধমান বার্ধক্য জনসংখ্যা তৈরি করে। ফলে সরকারগুলির জন্য পেনশন এবং স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলিতে বেশি খরচ করতে হয়। যে সমস্যায় ভুগছে জাপান অনেকদিন থেকেই।
ওইসিডি উল্লেখ করেছে, ২০০০ সালে দেখা যেত যে মেয়েরা মা হচ্ছে তাদের গড় বয়স ছিল ২৮ থেকে ২৯ বছর। ২০২২ সালে, তাদের বয়স গড়ে ৩০-৩১ বছর ছিল। জার্মানিতে, গড় বয়স একই সময়ে ২৮-৩১ বছর হয়েছে। অর্থাৎ প্রথম মা হওয়ার বয়স বাড়ছে।
অথচ ওইসিডির দেশগুলি পরিবারকে সহায়তা করার জন্য অনেক খরচ করে। তার পরেও সন্তানদের বড় করা, পড়াশোনা সহ নানা খাতের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায়র কারণেই অনেকে দেরিতে সন্তান নিচ্ছেন। জন্মহারও কমছে। এটাই ওইসিডির সদস্য দেশগুলির দুশ্চিন্তার কারণ।