আমুদরিয়া নিউজ : ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, সারা ভারতের বেশ কিছু কোচিং সেন্টার বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন দিয়ে পড়ুয়াদের কাছে টানতে চাইছে। এমন কিছু ঘটনা সামনে এসেছে ভারতের মিনিস্ট্রি অব কনজিউমারস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের। তাই মিনিস্ট্রি অব কনজিউমারস অ্যাফেয়ার্স, ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সংক্ষেপে সিসিপিএ খোঁজখবর নিয়ে সিসিপিএ দেশের ৪৫টি কোচিং সেন্টারকে বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য জরিমানা করেছে। সব মিলিয়ে ৫৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিসিপিএ-র চিফ কমিশনার নিধি খারে সম্প্রতি মিডিয়াকে এই বিষয়ে দেশের সরকারের নতুন গাইডলাইন তথা নির্দেশিকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী,
১) কোচিং সেন্টার বলতে সেগুলোই স্বীকৃতি পাবে যা একাডেমিক সহায়তা, দেয়। তবে কাউন্সেলিং, খেলাধুলা, নাচ, থিয়েটার এবং অন্যান্য সৃজনশীল কার্যকলাপ শেখানো হলে তা কোচিং সেন্টার হিসেবে গণ্য হবে না।
২) কোচিং সেন্টার হতে গেলে পঞ্চাশ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে কোচিং দিতে হবে।
৩) কোনও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না।
৪) কোনও কোচিং সেন্টার ১০০ শতাংশ সাফল্যের গ্যারান্টি দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না। চাকরির নিরাপত্তা আছে বলে দাবি করতে পারবে না।
৫) গুরুত্বপূর্ণ হল, নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, কোনও কোচিং ইনস্টিটিউট সফল প্রার্থীদের নাম, ছবি তাঁদের লিখিত সম্মতি ছাড়া ব্যবহার করতে পারবে না। জবরদস্তি করলে জরিমানা দিতে হবে।
৬) কোচিং সেন্টারকে তাদের অফার করা কোর্স, তাদের সময়কাল এবং ফি ফেরত নীতি স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।।
৭) নিশ্চিত ভর্তি, ভাল মার্কস গ্যারান্টি দেওয়া প্রচার করা যাবে না।
৮) ছাত্রদের সাফল্যের গল্প বিজ্ঞাপনে দেওয়ার জন্য আগাম চুক্তি করে রাখা যাবে না। ছাত্র বা ছাত্রী সফল হলে তাঁর অনুমতি লিখিতভাবে নিয়ে সাফল্যের ব্যাপারে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে।
৯) কোনও কোচিং সেন্টার নিয়ম মেনে সফল প্রার্থীদের তালিকা, ছবি প্রকাশ করলেও তাদের স্পষ্টভাবে লিখতে হবে সফল কোন প্রার্থী কতদিন কিসের কোচিং নিয়েছেন তাদের কাছ থেকে।
এখানেই শেষ নয়, এতসবের পরেও কোনও কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে সরাসরি ন্যাশনাল কনজিউমার রিড্রেসাল পোর্টালে অভিযোগ করতে পারেন।