আমুদরিয়া নিউজ : দেশের জনসংখ্যা নাকি হু হু করে বাড়ছিল। তাই জন্মনিয়ন্ত্রমে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু, ধীরে ধীরে এক সন্তান নির্ভর ফ্যামিলি বেড়ে চলেছে। তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে অন্ধ্রপ্রদেশে। এমন প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বললেন, অন্ধ্র সরকার এমন একটি আইন আনার পরিকল্পনা করছে, যাতে দুই বা তার বেশি সন্তান আছে, এমন অভিভাবকরাই স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু অন্ধ্রপ্রদেশের বয়স্কদের জনসংখ্যা বাড়তে থাকায় তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এটাও জানান, দক্ষিণ ভারতের অনেক অংশেই ইতিমধ্যেই বয়স্কদের জনসংখ্যা বেশি। বিশেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশে অন্য রাজ্যের চেয়ে বয়স্কের সংখ্যা বেশি। তিনি এটাও দাবি করেন, অধিকাংশ পরিবারই এখন হম দো, হামারে এক। এতে আগামী দিনে জনসংখ্যা প্রচুর কমে যাবে ভারতে। বেড়ে যাবে বয়স্কদের সংখ্যা। যা কি না জাপানে এখন চিন্তার কারণ। উপরন্তু, গ্রাম থেকে যুব সমাজ শহরমুখি, বিদেশমুখী। ফলে, গ্রামে বয়স্করাই শুধু পড়ে থাকছেন। অন্ধ্রপ্রদেশে প্রজননের হারও জাতীয় গড়ের অর্ধেক। তাই তিনি জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপরে গুরুত্ব দিতে আইন প্রণয়ন করাতে চান।
একনজরে দেখা যাক, জনসংখ্যা বেশি কমলে কী সমস্যা হতে পারে—
প্রথমত, চাহিদার চেয়ে কম কর্মী মিলবে। যা উৎপাদনশীলতা কমাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দ্বিতীয়ত, বয়স্কদের সংখ্যা বাডবে, কিন্তু, তরুণ প্রজন্ম বাইরে চলে যাবে। ফলে, তাঁদের পারিবারিকভাবে দেখাশোনা করার লোক মিলবে না।
তৃতীয়ত, নিত্যনতুন প্রযুক্তির কাজে অংশগ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত যুব সম্প্রদায় থাকবে না।