আমুদরিয়া নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব নদী দিবস। আজ আমরা একজন নদীপ্রেমীর কথা বলব। যিনি নদী বাঁচানো, নদী সংরক্ষণের আন্দোলনে এখন পথিকৃৎ হয়ে গিয়েছেন বাংলাদেশ সহ গোটা এশিয়া মহাদেশেই। তাঁর হাতে তৈরি সংস্থার নামও বিশ্বের দুয়ারে অতি পরিচিত। তাঁর নাম শেখ রোকন। তিনি যে সংস্থাটি তৈরি করে নদীর জন্য কথা বলেন, সরব হন সেটির নাম রিভারাইন পিপল।
বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে নদী দিবস পালিত হচ্ছে। রিভারাইন পিপলের উদ্যোগে। এখন সারা বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির শতাধিক শাখা আছে। দারুণ ব্যাপার হল, প্রতিটি শাখাই একেকটি নদীকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিভার কনজারভেশন ক্লাব (নদী সুরক্ষা ক্লাব) তৈরি করে কাজ হচ্ছে।
নদী দিবসের সূচনা অবশ্য ১৯৮০ সালে। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার (এখন চতুর্থ রোববার) বিশ্ব নদী দিবস হিসেবে পালন করে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া (বিসি) ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। দেশটির নদী বিষয়ক খ্যাতনামা আইনজীবী মার্ক অ্যাঞ্জেলো দিনটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
শেখ রোকনের প্রথম দিকে যে নদী বাঁচানোর জন্য শিরোনামে চলে আসেন সেটি হল নীলফামারীর একটি নদী দেওনাই। এই নদীর একটি শাখা ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ও সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে। যে শাখা নদীটিও দেওনাই নামেই বেশি পরিচিত। ২০১৭ সালে স্থানীয় নদীটি দখল করে বসতি স্থাপনের জন্য জমি মাফিয়ারা চক্রান্ত করে। তাঁরা সমিতি বানিয়ে সামান্য কিছু মাছ নদীতে ছেড়ে দিয়ে সাধারণ জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করে দেন। বাঁশের বেড়া দিয়ে নদীর মধ্যে সীমানা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। এলাকাবাসীরা রুখে দাঁড়ান। তখনই রিভারাইন পিপলস আসরে নামে। গড়ে তোলে দেওনাই সুরক্ষা কমিটি’। এই কমিটির তৎপরতায় এগিয়ে আসে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। ২০১৯ সালে দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পায় দেওনাই। এরকম ভাবে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে নদী বাঁচানোর আন্দোলন। আজ, এই বিশ্ব নদী দিবসে শেখ রোকন ও রিভারাইন পিপলদের অভিনন্দন।