আমুদরিয়া নিউজ : ২০২৫ আসতে খুব বেশি দেরি নেই। তার পরের বছর ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গে। সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখেই নিজের ফেসবুক পেজে যেন বড়সড় বোমা ফাটালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
শুক্রবার বেলা গড়াতেই তাঁর কমরেড মহম্মদ সেলিমের পেজে দেখা গেল এমন পোস্ট:
সতর্ক হোন, আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছি। বাংলাকে পাল্টাতে আমাদের এই দুর্দান্ত টিমে আপনি যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। এর পরেই বিশদে লেখা হয়েছে সিপিএম কোন কোন পদে চাকরি প্রার্থী চাইছে। মোট ৫টি পোস্ট। কতজনকে নিয়োগ করা হবে তা অবশ্য লেখা নেই। সিপিএম সূত্রের খবর, যোগ্য প্রার্থী পেলে একেকটি পদে একাধিক নিয়োগ হবে। মাইনে কত হবে তা লেখা নেই। তবে যোগ্য প্রার্থী পেলে মাইনেটা য়ে সমস্যা হবে না সেই ইঙ্গিত রয়েছে।
প্রথম পদ হল, পলিটিকাল অ্যানালিস্ট বা রাজনৈতিক বিশ্লেষক, যে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৮ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
দ্বিতীয় পদ হল, পলিটিকাল ইনটার্ন বা রাজনৈতিক বিশ্লেষকের সহায়ক। যে ক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা দরকার।
তৃতীয় পদ হল, কনটেন্ট রাইটার , মাস কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট, যে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা দরকার ২ থেকে ৫ বছর।
চতুর্থ পদ গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ২ থেকে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা দরকার।
পঞ্চম পদ হল ডিজিটাল মার্কেটিং এগজিকিউটিভ, দরকার ৫ বছরের অভিজ্ঞতা।
যোগাযোগের জন্য একটি মেল আইডি দেওয়া রয়েছে।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোড়ন পড়েছে। সাধারণ মানুষের অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অন্তত ২০০০ জন লাইক করেছেন। ৫০০ জনের বেশি জন কমেন্ট করেছেন। সিপিএমের এমন পেশাদারি মনোভাব তরুণ প্রজন্মের অনেকে পজিটিভ বলে মনে করছেন। এখন কমিউনিস্ট ইস্তাহার দেখিয়ে যে জয় হাসিল করা যাবে না সেটা মনে করিয়ে দিচ্ছেন এই প্রজন্মের অনেকে। তাঁদের মতে, মহম্মদ সেলিম একদম সঠিক পদে হাঁটছেন। তৃণমূল যদি পিকের আইপ্যাককে সামনে রাখতে পারে, বিজেপি যদি ভোটকুশলী নিয়োগ করতে পারে, কংগ্রেসও একই পথে হাঁটছে, তা হলে সিপিএম কেন নিয়োগ করবে না!
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় শূন্য সিপিএম। পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভাতে শূন্য সিপিএম। মহম্মদ সেলিমের এই ফেসবুক পোস্টের পরে কতজন আবেদন করেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। এই বিজ্ঞাপন কিছুটা অসম্পূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, একটা বিজ্ঞাপনে চাকরি বা নিয়োগের ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক, সাম্মানিক কত হতে পারে সেই ধারনা দেওয়া জরুরি। অন্তত, যোগ্য প্রার্থী হলে স্যালারি বা সাম্মানিক পর্যাপ্ত দেওয়া হবে সেটা বলে দেওয়া জরুরি। সেই ঘাটতিটুকু মহম্মদ সেলিম শুধরে নিয়ে সংযোজন করেন কি না সেটা নিয়েই ভাবছেন আগ্রহীরা।