আমুদরিয়া নিউজ : বাড়ির এবং পাড়ার সবাই ওঁকে তিন্নি বলে চেনেন। ডাকেন সে নামেই। এখন মাস্টার্স করে দিল্লিতে কাজ করছেন তিন্নি মানে ময়ূরাক্ষী চন্দ। বাবা প্রদীপবাবু শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসরপ্রা্পত। মা দিনহাটা হাসপাতালের মেট্রন। আজ শুধু চন্দ পরিবারের নয়, গোটা দিনহাটা, পুরো কোচবিহার এবং উত্তরবঙ্গের এক গর্বের দিন। কারণ, সারা ভারত থেকে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে বিজ্ঞানী হিসেবে ইসরো যে ৪ জনকে বাছাই করেছেন তাঁর মধ্যে আছে তিন্নি মানে ময়ূরাক্ষীর নাম। মঙ্গলবার এই খবর পৌঁছেছে দিনহাটায়। তার পরে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। দিনহাটায় মিষ্টিমুখ চলছে।


দিনহাটা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ময়ূরাক্ষীদের বাড়ি। তিনি দিনহাটা গার্লস হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেছেন। ২০১৬ সালে দিনহাটা সোনিদেবী জৈন হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তার পরে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। এর পরে সোজা দিল্লি গিয়ে নিউ দিল্লি ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে সয়েল নিয়ে এমএসসি করেছেন। সেখানেই গবেষণারতা তিনি। গত জানুয়ারিতে তিনি ইসরোতে বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া মিলেছে। ময়ূরাক্ষী বলেছেন, সয়েল সায়েন্সে সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছি। এবার ইসরোতে সুযোগ পেলাম। অনেক বড় দায়িত্ব। আশা করি সব ঠিকঠাক করতে পারব। ওঁর বাবা-মা তো বটেই, দিনহাটার মানুষ দু হাত তুলে ওঁকে আশীর্বাদ করছেন।