আমুদরিয়া নিউজ: মেয়ের উপরে যৌন অত্যাচার চালানোর প্রতিশোধ নিতে কয়েক হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কুয়েত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে একজনকে খুন করেছেন তার বাবা। বাবা মা শ্রমিকের কাজ করেন কুয়েতে। তাদের একটাই লক্ষ্য মেয়ের যাতে পড়াশোনায় কোন সমস্যা না হয়। খাওয়া পরার কোন সমস্যা না থাকে। সেজন্য দিন রাত এক করে একটু বেশি উপার্জনের চেষ্টা। তাই তারা তাদের ১২ বছরের মেয়েকে তার মাসির বাড়িতে রেখে যান। সেখানে যাতে তাদের মেয়ে ভালোভাবে থাকতে পারে সে জন্য মাসে মাসে খরচ দিতেন। কিন্তু তারা জানতে পারেন যে মেয়েটির সাথে খারাপ ব্যবহার হয়েছে তার মাসির শ্বশুর। ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও তেমন কোনো কাজ হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে ধমক দিয়ে ছেড়ে দেয়। এমনটাই অভিযোগ। এমন অবস্থায় নিজের মেয়ের এই পরিণতি এবং অভিযুক্তির বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ানো দেখে মেনে নিতে পারেনি তার বাবা। সে কারণে কন্যার যৌন হেনস্থাকারীকে শাস্তি দিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেন বাবা। কুয়েত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে এসে খুন করে ৫৯ বছর বয়সী অভিযুক্তকে।
পুলিশে ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুরো বিষয়টি জানতে পারে। তারপর মেয়েটির বাবা তার অপরাধ স্বীকার করে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন পুলিশের এমন নরম মনোভাব মেনে নিতে পারেননি। তাই মেয়ের হেনস্থাকারীকে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন, শাস্তি দিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন কুয়েতে। তবে এবার তার আত্মসমর্পণে কোন সমস্যা নেই।
এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বলছেন এভাবে মেয়ের নিগ্রহকারীকে শাস্তি দিতে নিজের হাতেই আইন তুলে নেওয়া ও একজনকে হত্যা করা তা সমর্থনযোগ্য নয়। আবার অপর একটি পক্ষ বলছে দেশে কবে অভিযুক্ত ধরা পড়বে এবং আদৌ শেষপর্যন্ত শাস্তি পাবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কাজেই যা হয়েছে উচিত হয়েছে, বাবা হিসেবে তিনি ঠিক কাজ করেছেন। পুলিশ তাদের কাজ ঠিকমতো করলে তার বাবাকে এটা করতে হত না।
আপনাদের কি মতামত জানাতে পারেন।