আমুদরিয়া নিউজঃ শীত কিংবা গ্রীষ্ম পাহাড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে যান বহু মানুষ। চারিদিকে সবুজ পাহাড়, মেঘের আনাগোনা, নানা ধরণের রঙিন ফুল, পাহাড় বেয়ে নিচে নেমে আসা ঝরণা আরও কত নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন তারা। আর পাহাড় ভ্রমণের পাশাপাশি যদি অ্যাডভেঞ্চারের অনুভূতি পাওয়া যায়, তাহলে ভ্রমণের আনন্দ একশো শতাংশ পূরণ হয়। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের কোলে অ্যাডভেঞ্চারের সেইসব বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এমনই এক নতুন অ্যাডভেঞ্চার হাব তৈরি হয়েছে শিলিগুড়ি শহর থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে রোহিনীতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই জায়গায় রয়েছে রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের নানা ব্যাবস্থা। যা আপনার ভ্রমণের আনন্দ ও অভিজ্ঞতাকে এক অন্য মাত্রা দিবে। তার জন্য আপনার খুব বেশি খরচ হবে না। শিলিগুড়ি থেকে রোহিনীর দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই জায়গা পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয় ডেস্টিনেশন হয়ে উঠছে। রোহিনী প্যারাগ্লাইডিং ও অ্যাডভেঞ্চার অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে পর্যটকদের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার স্বাদ দেওয়ার জন্য নানান ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোহিনী অ্যাডভেঞ্চার হাবের মূল আকর্ষণ অফ রোডিং এবং প্যারাগ্লাইডিং।
এখানে আপনি জনপ্রিয় এটিভি (অল টেরেন ভেহিক্যাল) গাড়ির মাধ্যমে অফ রোডিং করতে পারবেন। পাহাড়ি পথে দুর্গম রাস্তায় গাড়ি চালানোর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পাবেন। এর জন্য জনপ্রতি খরচ পড়বে ৩০০ টাকা। অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা নিতে এখানে প্যারাগ্লাইডিং করতে পারেন। এর মাধ্যমে পাহাড়ের উপর উড়তে উড়তে আরও কাছে থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দুচোখ ভরে উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। ৩৫০০ টাকায় এখানে প্যারাগ্লাইডিং করা যাবে। এছাড়া এখানে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের জন্য ৫০ টাকায় ওয়াটার ফল ট্রেকিং এর ব্যবস্থা আছে। এছাড়া জঙ্গলে প্রকৃতির মাঝে লাঞ্চ করার আনন্দ নিতে পারবেন পর্যটকরা। জনপ্রতি ৫০০ টাকার বিনিময়ে জঙ্গলের মধ্যে লাঞ্চ সারতে পারবেন। আর থাকছে প্রকৃতির বুকে জঙ্গলে ক্যাম্পিং করার সুযোগ। সেই ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য ও পর্যটকদের সেই এলাকা ঘুরিয়ে আনন্দ দানের জন্য অভিজ্ঞ গাইড তদারকির দায়িত্বে থাকবে। সব মিলিয়ে এই জায়গাটি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য আদর্শ স্থান। রোহিনীতে এই সমস্ত ব্যবস্থা করা সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাহাড়ে বেড়াতে আসা অনেকেই অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাই তাদের আনন্দ দিতে এই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।