আমুদরিয়া নিউজ : পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট পাঞ্জাব সরকারকে প্রতিটি জেলায় এবং রাজ্য পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ট্রান্সজেন্ডারদের সুরক্ষা সেল স্থাপনের বিষয়ে অবহিত করতে বলেছে। ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের সুরক্ষার বিধিমালা, ২০২০-এর ১১ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে যে, প্রতিটি রাজ্য সরকার ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা পর্যবেক্ষণ, তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এবং রাজ্যের পুলিশ মহাপরিচালকের অধীনে একটি ট্রান্সজেন্ডার সুরক্ষা সেল গঠন করবে। যেখানে বেশ কয়েকটি বিষয় নজরে রাখা খুবই প্রয়োজন যেমন,
পাঞ্জাবের আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা জেল এবং থানায় অভিযুক্ত পুরুষ ও মহিলা ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য আলাদা সেল না থাকলে সেই বিষয়টি যেন আদালতকে জানায়। পরবর্তী শুনানির তারিখে বা তার আগে হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ট্রান্সজেন্ডারদের এলজিবিটিকিউ প্লাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাই নালসা ও ইউওআই মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে, ট্রান্সজেন্ডারদের যে কোনো ধরণের মানসিক বা শারীরিক হয়রানি থেকে রক্ষা করার জন্য কারাগারের ভেতরে আলাদা সেল বা ওয়ার্ড এবং টয়লেট তৈরি করা উচিত। প্রতিটি থানায় আলাদা লকআপও তৈরি করা উচিত। ২০২২ এ বিহারের একটি মামলায় পাটনা হাইকোর্ট বলেছে, বিহারের সমস্ত কারাগারে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড এবং সেল তৈরি করতে হবে।
ট্রান্সজেন্ডার বন্দিরা আবেদন করেছিলেন, কারাগারগুলিতে পুরুষ ও নারী বন্দিদের একাংশ তাঁদের হেনস্থা করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরাই জেলের ভেতরে সবচেয়ে বেশি হেনস্থার শিকার হন। তাই পাঞ্জাব হাইকোর্ট দ্রুত সে রাজ্যের জেল সুপারদের পুরুষ ও মহিলা ট্রান্সজেন্ডার বন্দিদের জন্য পৃথক সেল তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।