আমুদরিয়া নিউজঃ কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বড় দায়িত্ব পেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক ( হিপ্পি)। তিনি কোচবিহার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারও। আরজিকর কান্ডকে সামনে রেখে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আন্দোলনে নামে ডাক্তারি পডুয়ারা। সেই আন্দোলন চলাকালীন জনপ্রতিনিধিদের মাথায় রেখে হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন রোগী কল্যাণ সমিতি গঠনের আগে কারা তাতে জায়গা পাবেন তা নিয়ে নির্দেশিকা দিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। রোগী কল্যাণ সমিতিতে ৮ জন সদস্য থাকবে। ওই সদস্যদের মধ্যে একজন জন প্রতিনিধি। সেই মতো কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির জন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক( হিপ্পি)। নতুন নির্দেশিকায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হবে।
এছাড়া সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টরস, জুনিয়র ডক্টরস এবং নার্সদের তরফে একজন করে প্রতিনিধি থাকছেন। দুই জন বিভাগীয় প্রধান জায়গা পাবেন এই সমিতিতে। হাসপাতালের সুপারকে এই সমিতির সচিব করা হবে জানা গিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির জন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে অভিজিৎ দে ভৌমিক জানান, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে বেশ কিছু ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ছেন।
স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। উন্নয়নে তৎপর। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও পরিকাঠামোগত বহু উন্নয়ন হয়েছে। কোচবিহারের মানুষ যাতে আরও ভালো পরিষেবা পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এই হাসপাতালের সব কিছু রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণের পাশাপাশি কোনো কিছুর প্রয়োজনীয়তার বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার চেষ্টা করা হবে।