আমুদরিয়া নিউজ ডেস্কঃ বর্তমান যুগে বি. এড একটি অতি প্রয়োজনীয় ডিগ্রি যেটি ছাড়া বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভবপর নয়। ব্যাচেলর অব এডুকেশন বি. এড এর পুরো নাম। বি. এড কোর্সে ভর্তি হতে গেলে আবেদনকারীর যেকোনো বিষয়ে যেকোনো কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি আবশ্যিক। স্নাতকোত্তর থাকা বাঞ্চনীয় নয়। পুরোনো পাঠক্রম অনুযায়ী স্নাতকের পরে বি. এড একটি ২ বছরের কোর্স যেখানে চারটি সেমেস্টার থাকে। নতুন নিয়মে ৪ বছরের স্নাতক ও বি. এড এর একটি সমন্বিত কোর্স হবে যেখানে চার বছরে ছাত্র বা ছাত্রীর স্নাতক ও বি. এড ডিগ্রি একসাথে সম্পন্ন হবে।কোর্সগুলোতে শিশুদের পড়ানো, শিশু মনোস্তত্ব, পেডাগোজি, প্রাকটিস টিচিং প্রভৃতি করানো হয়। রাজ্যেজুড়ে যেসকল সরকারি বি. এড কলেজ রয়েছে সেগুলিতে ২ বছরের চারটি সেমেস্টার মিলিয়ে খরচ পড়ে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। বেসরকারি কলেজগুলিতে খরচ অনেক বেশি প্রায় ১ লক্ষের উর্দ্ধে। এছাড়াও একেকটি বেসরকারি কলেজে একেকরকম বেতন-কাঠামো পরিলক্ষিত হয়। উপরন্তু বেসরকারি কলেজগুলির বৈধতা নিয়েও আজকাল উঠছে নানান প্রশ্ন। বহু ক্ষেত্রেই আবেদনকারীদের দালালের সম্মুখীন হতে হয় এবং এই দালালরা সেই কলেজগুলিতে ভর্তি তো করিয়ে দেয় কিন্তু বহুক্ষেত্রেই কোর্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা সেই কলেজের নির্ধারিত সিট-সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। প্রথমে কিছু না হলেও অদূর ভবিষ্যতে ছাত্র-ছাত্রীদের সার্টিফিকেট নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
এছাড়া অনেক বেসরকারি বি. এড কলেজগুলো এন. সি. টি. ই. অর্থাৎ ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টিচার্স এডুকেশনের নিয়মাবলী মেনে চলেনা এবং এন. সি. টি. ই সার্টিফিকেটের ভুয়ো দাবি করে যার জন্য এই ধরণের কলেজগুলো থেকে যে ছাত্রছাত্রীরা ডিগ্রি অর্জন করেছে তাদের অনেকেরই ভবিষ্যৎ বিপন্ন। গেলো বছর রাজ্য সরকার এমন ২৫৩ বেসরকারি কলেজগুলির অনুমোদন নাকচ করেছে।সরকারি কলেজগুলিতে বেতন কম, বৈধতা নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই তবে এই কলেজগুলি সংখ্যায় কম এমন কি সিটও কম। বি. এড যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মসংস্থানের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিগ্রি তাই ইঞ্জিনিয়ারিং বা ম্যানেজমেন্ট কলেজগুলোর মতো এই কলেজগুলোতেও প্লেসমেন্ট-এর সুবিধা থাকা উচিত যা কয়েকটি মাত্র বেসরকারি কলেজই দেয় উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে শহর শিলিগুড়ির প্রগতি বি. এড কলেজ। বেসরকারি বি. এড কলেজগুলিতে বেতনমূল্য ও বৈধতা নিয়ে সরকারের আরও হস্তক্ষেপ প্রয়োজন এবং আরও সরকারি বি. এড কলেজ তৈরী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিংবা বর্তমান কলেজগুলিতে সিট সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।এই কোর্সগুলিকে নির্দ্বিধায় সম্পন্ন করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ পেতে পারে উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে বিবেকানন্দ স্কলারশিপ(রাজ্য সরকার)।