আমুদরিয়া নিউজ : মঙ্গলবার সকালে প্রবল ভূমিকম্পে চিনের তিব্বতের প্রত্যন্ত এলাকায় অন্তত ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। ধসের নিচে চাপা পড়েছেন অনেক বাসিন্দা। উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭ দশমিক ১।
এই ভূমিকম্পের রেশ পৌঁছেছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতেও। সেখানে প্রবল কম্পন অনুভূত হয়েছে। চিনের সময় সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎস ছিল নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতের ডিংরি এলাকা। ওই এলাকার বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। তাতে অন্তত ১০২ জন আহত হয়েছেন। ডিংরি এলাকা মাউন্ট এভারেস্টের কাছাকাছি। এই চরম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। গত ৫ বছরের মধ্যে ডিংরির ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরে আফটার শকের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।
এদিন ভূমিকম্পের তীব্রতায় ঘুম বাঙে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলের মানুষেরও। সকাল ৬টা ৪০ নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দার্জিলিং থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল উৎসস্থল। মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতায়। বিহার, দিল্লিতেও ঝাঁকুনি টের পেয়েছেন বাসিন্দারা।
তবে উত্তরবঙ্গে কোথাও ক্ষতির খবর নেই। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ভূমিকম্পের কিছুক্ষণের মধ্যেই আফটার শক টের পাওয়া গিয়েছে।