আমুদরিয়া নিউজঃ আপনি কি কাশ্মীরের ডাল লেকের শিকারা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিতে চান? তাহলে আসতে পারেন উত্তরবঙ্গের অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্রে। যেখানে নৌকাগুলোকে শিকারার মতো সাজানো হয়েছে। তাতে চড়ে শিকারা ভ্রমণের মজা নিতে পারবেন। এছাড়া এই পর্যটন কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে একটি সুন্দর ঝুলন্ত সেতু। এই সেতুটি সিডনি হারবারের ব্রিজের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। যা আপনার নজর কাড়বে। এখানে শিকারা ভ্রমণ করতে করতে দেখা পাবেন শীতের অতিথিদের। নানা ধরণের পরিযায়ী পাখিদের ভিড় ও তাদের কলতান আপনার মনকে পুলকিত করে তুলবে। শীতে এই পর্যটন কেন্দ্রে আসলে এই পরিযায়ী পাখিদের দর্শন পর্যটকদের কাছে উপরি পাওনা। তাই এই সব কিছুর আনন্দ নিতে হলে আসতে হবে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার গাজলডোবাতে। শিলিগুড়ি থেকে এই গাজলডোবার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। এটি তিস্তা ব্যারেজের একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র। এই অঞ্চলটি বৈকণ্ঠপুর বন দ্বারা ঘেরা। এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দফতরের মেগা পর্যটন হাব ভোরের আলো গড়ে তোলা হয়েছে। এই প্রকল্পে এখানে নজর কাড়া রিসর্ট তৈরি হয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য।
এখানে পর্যটকদের ঘোরার জন্য ব্যাটারি চালিত গাড়ি এবং সাইকিলিং করার ব্যবস্থা আছে। যার খরচ মাথা পিছু ১০০ টাকা। শিকারা ভ্রমণের জন্য যথাক্রমে ১০০ ও ২০০ টাকা দিতে হয়। শীতের মরশুমে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে গাজলডোবাতে। বিশেষ করে শনি-রবিবার ও অন্যান্য ছুটির দিনে দূর দূরান্তের মানুষ আসছেন এখানে। নতুন ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণের ফলে এই পর্যটন কেন্দ্রটির আকর্ষণ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এই সেতু হওয়ায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে গাজলডোবার যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা হয়েছে। ফলে ভ্রমন পিপাসুদের কাছে পছন্দের স্থান হয়ে উঠেছে গাজলডোবা। তাই সময় সুযোগ হলে ঘুরে আসতে পারেন এই পর্যটন কেন্দ্রে। ভোরের আলো- র কটেজে থেকে আনন্দ উপভোগ করতে।