সুকুমার রঞ্জন সরকার কুমারগ্রাম, ২৩ ডিসেম্বর: আধুনিক গৃহীনীদের হেঁসেলে এখন দাপট গুড়ো মশলা আর মিক্সির। শিল।পাটা এখন সেকেলে। এক সময় শিল পাটায় পেষা মশলা ছিলো রান্নার অন্যতম উপকরন। শিল পাটায় পেষা মশলায় রান্নার স্বাদ ছিলো অতুলনীয়। সারা বছর বিশেষ করে উৎসব ও বিয়ের মরশুমে পাড়ায় পাড়ায় শোনা যেত শিল পাটা ধারকারীদের হাঁক। সেই হাঁক শুনে গৃহীনীরা বাড়ির ভেতর মহলে ডেকে নিয়ে আসতেন শিলপাটা ধারকারীদের। তারা বাড়ির ভেতরেপ্রবেশ করে বারান্দায় চট বিছিয়ে বসে যেতেন শিল পাটা ধার করতে। ছেনির উপর হাতুড়ির আঘাতে নিপুন হাতে তারা শিল পাটায় ফুটিয়ে তুলতেন বিভিন্ন নক্সা। সুন্দর সুন্দর নক্সায় পাথরের পাটা দেখতে হতো দৃষ্টিনন্দন। সেই ধারালো পাটায় মশলা রেখে ধারালো শিল দিয়ে পেষা মশলা রান্নার স্বাদ ও সুবাস ছড়িয়ে হয়ে ঊঠতো অনন্য।
বর্তমানে গুড়ো মশলা আর মিক্সি রান্না ঘর থেকে দূর করে দিয়েছে শিল পাটাকে আর জীবিকা হারাচ্ছেন শিল পাটা ধার করিয়েরা। এমনই এক শিল পাটা ধার করিয়ে সুবন অধিকারী জানান আগে শিল পাটা ধার করে দিব্যি সংসার চালাতেন। এখন সংসার চালানো তো দূর কাজই জোটেনা। গুড়ো মশলা আর মিক্সি কেড়ে নিয়েছে তাদের পেশা। এখনও পরিচিত এবং প্রাচীনপন্থী দু একটি পরিচিত বাড়ি থেকে কাজের ডাক মাঝে মাঝেই এলেও তা দিয়ে দুদিনের ও সংসার খরচ হয়না। একারনেই তিনি বা তাদের মতো আরও যারা এই কাজে যুক্ত ছিলেন তারা এখন সন্ধান করছেন বিকল্প পেশার।