আমুদরিয়া নিউজ : ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের এক ছাত্রের উপর থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। সেই ঘটনায় মৃতের উপরে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল। অন্তত ৩২ জনকে চিহ্নিত করেছিল তদন্ত কমিটি। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকিদের কলেজ শোকজ করেছিল। তাঁরা অবশ্য পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি অভিযুক্তদের একজন ক্যাম্পাস ইন্টারিভিউয়ে চাকরি পেয়েছেন। তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এভাবে অভিযুক্তরা ছাড় পেলে আগামী দিনে রাগিংয়ের মতো অপরাধ রোখা যাবে কী করে সেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকদের অনেকেই।
এই প্রেক্ষাপটেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সিদ্ধান্ত ঘোষমা হয়েছে, আপাতত অভিযুক্তদের কাউকে মার্কশিট দেওয়া হবে না। ওই মার্কশিট পেতে হলে তাঁদের আদালতের অনুমতি দেখাতে হবে। অর্থাৎ রাগিংয়ে অবিযুক্ত হলে আগামী দিনেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহজে মার্কশিট মিলবে না। সে ক্ষেত্রের মামলা দায়ের হয়ে থাকলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে অভিযুক্ত মার্কশিট পেতে পারে। এতে একশ্রেণির ছাত্রছাত্রীর বেপরোয়া মনোভাব একটু হলেও প্রশমিত হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
এই সিদ্ধান্ত নিয়েও সমালোচনা চলছে। কারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাকাপাকি একটা সিদ্ধান্ত কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে নিতেই পারত। সেটা না করে হাইকোর্টের দিকে বল ঠেলে দিয়েছে কেন সেটাই অভিভাবকদের কয়েকজন ভাবছেন।