আমুদরিয়া নিউজ : ইসাবেল সেন্ট সাইর হলেন প্রথম এলজিবিটিকিউ প্লাস মহিলা যিনি মিস মেইন ইউএসএ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ২৪ বছর বয়সী সেন্ট সাইর মেইনের হাওল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি আগামী মাসে পোর্টল্যান্ডে মিস মেইন আমেরিকা-তে তাঁর প্রথম প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেন্ট সাইর বর্তমানে ম্যাসাচুসেটসের মনসনে থাকেন যেখানে তিনি একটি খামারের মালিক এবং মিস মনসন ইউএসএ-এর খেতাব জিতেছেন।
সেন্ট সাইরের এই প্রতিযোগিতায় প্রবেশ এমন এক সময়ে হয়েছে যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকা জুড়ে এলজিবিটিকিউ প্লাস ব্যক্তিদের নানা ক্ষেত্র থেকে বহিষ্কার করতে শুরু করেছেন। এমনকি একটি ভাষণে তিনি এলজিবিটিকিউ প্লাস সম্প্রদায়ের সমর্থকদের শিশু নির্যাতনকারীদের সাথে তুলনা করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হয় বেশ কয়েকটি ট্রান্স-বিরোধী নির্বাহী আদেশ সাক্ষরের মাধ্যমে , যার মধ্যে একটি ছিল ফেব্রুয়ারিতে নারীদের খেলাধুলায় নিষিদ্ধ করা।
এই প্রসঙ্গগুলি উঠতেই সেন্ট সাইর জোর দিয়ে বলেন যে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ায় এই প্রতিযোগিতায় সাইন আপ করেননি। তিনি এই প্রতিযোগিতায় ভাগ নিয়েছেন কারণ তিনি যেকোনো প্রতিযোগিতাই পছন্দ করেন। তিনি মনে করেন, সব এলজিবিটিকিউ প্লাস মহিলারাদেরই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া উচিত।
মিস মেইন ইউএসএ মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের অধীনে পরিচালিত হয়। ২০১২ সালে এলজিবিটিকিউ মহিলাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য এর কিছু নিয়ম পরিবর্তিত হয়।
মিস ইউএসএ, মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা এবং ম্যাসাচুসেটস এবং মেইনের রাজ্য প্রতিযোগিতার সহ পরিচালক পরিচালক আভা ক্লেমেন্ট বলেন, মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন সমাজের সকল নারীকে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করে। তাঁরা সেই সকল নারীদের বেছে নেন যারা ধর্ম, সম্প্রদায়, ক্ষমতার সুযোগ না নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে চলে।
প্রতিযোগিতাটি ১০ মে শুরু হবে। ১১ মে চূড়ান্ত প্রতিযোগীদের নাম ঘোষণা করা হবে।