আমুদরিয়া নিউজ ডেস্ক : এ এক ভয়ঙ্কর খুনের কাহিনী। তিনি ছিলেন মিস সুইজারল্যান্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট। অতীতে একবার মিস সুইজারল্যান্ড (নর্থ ওয়েস্ট) হয়েছিলেন। দুই মেয়ে, স্বামীকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। সেই স্বামীই তাঁকে গলা টিপে খুন করে, দেহের কিছুটা অংশ কোদাল, বেলচা, ব্লেন্ডার দিয়ে টুকরো টুকরো করে রাসায়নিকে চুবিয়ে তাঁকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। এবং রটিয়ে দিয়েছিল তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে।
প্ল্যান ছিল ধীরে ধীরে দেহটি রাসায়নিকে চুবিয়ে লোপাট করে দেবে। সে জন্য দুই মেয়েকে রেখে এসেছিল হোমে। কিন্তু, শেষ অবধি দেহটি পুরোপুরি লোপাট করতে পারেনি। তার আগেই মৃতার বাবা খোঁজাখুঁজি শুরু করতেই খুনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। কিন্তু, দেহাংশ কিছুটা মিললেও মাথাটি কিছুতেই মিলছিল না। শেষ অবধি মৃতার বাবা বিশাল বাংলোর একটি জঞ্জালের স্তূপে সোনালি চুল দেখতে পান। সেই জঞ্জালের বাক্সেই মেলে পচাগলা মাথাটি।
এই খুনের ঘটনা ঘিরে গোটা সুইজারল্যান্ড তোলপাড়। খুন হওয়া মিস সুইজারল্যান্ডের নাম ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচ। তাঁর স্বামী থমাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ২০১৭ সালে তাদের বিয়ে হয়। থমাস একজন ধনী ব্যবসায়ী। কিন্তু, পুলিশ মনোবিজ্ঞানীদের মাধ্যমে থমাসকে জেরা করেছে নিশ্চিত হয়েছে থমাস বরাবরই অপরাধপ্রবণ এবং শান্ত মাথায় খুন করতে পারে। থমাসের মানসিক বিকৃতি রয়েছে বলেও মনোবিজ্ঞানীদের মত। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনাটি আদতে কী ঘটেছে তা প্রথমে বোঝা যায়নি। তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার পরে বিষয়টি সম্প্রতি সামনে এসেছে।
প্রথমে থমাস দাবি করেছিলেন, তাঁকে তাঁর স্ত্রী ছুরি দিয়ে খুন করতে এলে তিনি বাধা দিতে গেলে এমন ঘটনা ঘটে। তার পরে আতঙ্কে দেহটি লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, থমাসের শরীরের প্রতিরোধ করার কোনও চিহ্ন মেলেনি। সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল আদালত তাঁর মুক্তির আবেদন খারিজ করেছে। আইনজীবীরা আদালতে জানান, থমাস এর আগে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দিয়েছিলেন বলে একজন সাক্ষী দিয়েছেন।