আমুদরিয়া নিউজ ডেস্কঃ আরজিকর কাণ্ডের মধ্যেই কোলকাতার বুকে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিবাস থেকে এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনা কে কেন্দ্র করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। দেশ ও বিদেশে অতি পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী । আর সেখানেই ঘটে গেল এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা। এমনিতেই আর জি করের ঘটনার পর থেকে রাজ্যে যে উত্তেজনাময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তার ওপর যেকোনো অস্বাভাবিক ঘটনাই মানুষের মনে রহস্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
বিশ্বভারতীর আম্রপালি ছাত্রীনিবাসে অনামিকা সিং নামে এক ভিন রাজ্যের মেয়ে পড়াশোনা সূত্রে থাকতেন। আর সেখান থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে, তারপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অনামিকা সিং বিশ্বভারতীর শিল্প সদনের তৃতীয় বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে উদ্ধার করে বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতির কারণে সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে যান ও পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল অর্থাৎ আম্রপালি ছাত্রীনিবাসে যান এবং সেখানে পুলিশকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাড়াই কেন পুলিশ হোস্টেলের ভেতরে প্রবেশ করল? অন্যদিকে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল সীল করার পরই তারা হোস্টেলে ঢোকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে মৃত ছাত্রীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
যদিও ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে কিন্তু এর পেছনেও কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।