আনুদরিয়া নিউজ ডেস্কঃ সিঁধ কেটে ঘড়ে ঢুকে গৃহবধূ ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। হারহিম করা ওই ঘটনা নদীয়ার ভীমপুর থানার ডিগ্রি গ্রামে। আরজিকর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার এখনও কিনারা হয় নি। দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রতিদিনই কোথাও কোথাও প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হয়ে চলেছে। আর ঠিক এই আবহের মধ্যে ফের ভয়ংকর এই ঘটনা ঘটে গেল বাংলায়।
জানা গিয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসার পথে ওই নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। ওই মহিলাকে শারীরিক অত্যাচার করেছে যুবক এবং মাথায় আঘাতও করেছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, প্রতি রাতের মতোই ওই মহিলা তার ছোট ছেলেকে নিয়ে নিজের ঘড়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সুযোগে পাশের গ্রামের এক যুবক গভীর রাতে সিঁধ কেটে ওই মহিলার ঘরে ঢোকে। কর্মসূত্রে মৃতার স্বামী বিদেশে থাকেন । এই ঘটনার পরদিন সকালে মৃতার শাশুড়ি বাড়ির পেছনে গিয়ে দেখেন কিছু জরুরি কাগজপত্র পড়ে রয়েছে। এরপরই তিনি দেখেন ঘরের সিঁধ কাটা। ঘরে গিয়ে দেখেন তাঁর বউমা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এই অবস্থা দেখার পর তিনি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকেরা তখনই ছুটে আসেন। মহিলাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। কিন্তু মাঝ পথেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে দেহ ফিরিয়ে আনা হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে।
ভীমপুর থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এবং ক্রাইম সিনের জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মহিলারা তীব্র আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসীর একটাই দাবি, যে বা যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হোক। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এলাকারই অনুজ নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে।