আমুদরিয়া নিউজ ব্যুরো : মাদ্রাসাগুলি দেশের মূলস্রোতের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ করে না বলে এবং শিক্ষা দেওয়ার উপযুক্ত নয় বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিল ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর)।
এনসিপিসিআর বলেছে যে মাদ্রাসাগুলি ধর্মের প্রেক্ষাপটে বেশি কাজ করে। একটি শিশুর মৌলিক শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। এনসিপিআরের মতে, সাংবিধানিক অধিকার মানে শিক্ষার অধিকার (আরটিই) এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট, ২০১৫ লঙ্ঘন করে। সংস্থার মতে, “এটি একটি শিশুর শিক্ষার মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারের একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন যা সম্পূর্ণরূপে ধর্মের প্রেক্ষাপটে এবং যা আরটিই আইন, ২০০৯, বা অন্য কোনো প্রযোজ্য আইনকে মেনে চলে না।
সুপ্রিম কোর্টকে এনসিপিসিআর বলেছে যে, মাদ্রাসাগুলি সঠিক পাঠ্যক্রম, শিক্ষকদের ঘাটতি এবং অর্থায়নে অস্বচ্ছতা ছাড়া শিক্ষার জন্য একটি সামগ্রিক পরিবেশ দিতে পারছে না।
এনসিপিসিআর বলেছে, “মাদ্রাসাগুলির কাজ পর্যবেক্ষণ করার জন্য কমিটি নেই। ফলে, বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের লেখাপড়া কীভাবে কতটা হচ্ছে সেটা জানতে পারেন না।
এনসিপিআর জানিয়েছে, অনেক শিশু মাদ্রাসায় মূলত ধর্মীয় শিক্ষা পায়। সে জন্য, জাতীয় মূল শিক্ষার স্রোতে মিশতে সমস্যা হয়। এনসিপিসিআর বলেছে যে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে একাডেমিক কর্তৃপক্ষ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয় কারণ এটি কেবলমাত্র পরীক্ষা পরিচালনা করার ক্ষমতা সহ একটি সংস্থা।
এটি আরও দাবি করেছে যে, অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের মধ্যে মাত্র 16 শতাংশ ছিল মুসলিম এবং বিপুল সংখ্যক অমুসলিম মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। “শিশুদের মুসলমান ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম পালন করা থেকে বিরত রাখা জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ২০১৫ (জেজে অ্যাক্ট ২০১৫) এর ৭৫ ধারা লঙ্ঘনের সামিল। গত ৫ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে। ওই রায়ে হাইকোর্ট, উত্তরপ্রদেশ বোর্ড অফ মাদার্সা শিক্ষা আইন, ২০০৪ কে অসাংবিধানিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির লঙ্ঘন হিসাবে রায় দিয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে সরকারি স্কুলে মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছিল।
প্রয়োজনে নতুন স্কুল স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছিল।
সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। তার প্রেক্ষাপটে এনসিপিআর-এর এই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টকে দিয়েছে।