আমুদরিয়া নিউজ ডেস্কঃ পূজা আসন্ন, বাড়িতে বসে কোথাও ঘুরে আসার চিন্তা ভাবনা করছেন। চলুন কোন একটা জায়গা স্থির করার নিজামের শহর হায়দ্রাবাদ নিয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক। চেনা-অচেনা জায়গার ঝুলি নিয়ে আমাদের এখন গন্তব্য নিজামের শহর হায়দ্রাবাদ। শিলিগুড়ির নিবাসিরা গোয়াহাটি সেকেন্দ্রবাদ এক্সপ্রেসে চেপে কিংবা বিমান মারফত পৌঁছে যাবেন হায়দ্রাবাদ। অসংখ্য হোটেল এবং রিসর্ট ছাড়াও এখানে পাওয়া যাবে লজ-ও। চারপাশ ঘুরেবেড়ানোর জন্য ভাড়া পাওয়া যেতে পারে অটো, গাড়ি কিংবা প্যাকেজট্যুর-ও বুক করতে পারেন, এছাড়া মেট্রোর ব্যবস্থাও রয়েছে। হায়দ্রাবাদে পৌঁছে শহরাচঞ্চলের মধ্যে ঘুরে আসা যেতে পারে নিজাম প্যালেস, সালারজাম মিউজিয়াম,চারমিনার গেট,লুম্বিনী পার্ক। লুম্বিনীপার্কের মধ্যেই অবস্থিত হুসেন সাগর, এটি একটি ছোট হ্রদের মতো এবং জলের ঠিক মাঝখানে রয়েছে গৌতমবুদ্ধের একটি বড়ো স্ট্যাচু,সন্ধ্যা নেমে এলেই নানারঙের আলো স্ট্যাচুর গায়ে খেলে বেড়ায়। কেউ যদি জল পেরিয়ে বুদ্ধদেবের মূর্তি অব্দি যেতে চায় তবে বোটের ব্যবস্থা আছে। পুজো দিতে মন চাইলে রয়েছে শ্বেত পাথরের বিড়লা মন্দির, এটি মূলত তিরুপতি বালাজির মন্দির এবং এই মন্দির থেকে পাওয়া যাবে শহরের অসাধারণ ভিউ। শহর থেকে একটু বাইরে রয়েছে গোলকুন্ডা ফোর্ট, তবে গোলকুন্ডা ফোর্ট পুরোটা ঘোরার জন্য হাতে একদিন সময় রাখা ভালো, এই ফোর্টেই রয়েছে রামদাস জেল। গোলকুন্ডা দূর্গ তৈরী হয়েছিল গোলকুন্ডা শহরটাকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করতে। কাকাটিয়া বংশের রাজারা এই দূর্গ নির্মাণ করেছিলেন। রামদাস ছিলেন আব্দুল হাসানশাহের রাজকর্মচারী যাকে বন্দী করা হলে তিনি জেলের দেয়ালে দেব-দেবীর মূর্তি খোদাই করেন। ইতিহাস কে বিরতি দিয়ে পরেরদিন পা রাখুন বিনোদনের জগতে, আজ্ঞে হ্যাঁ রামোজি ফিল্মসিটি। এটি ঘোরার জন্যও হাতে একদিন সময় রাখতে হবে, ফিল্মসিটি যেহেতু তাই এখানে দেখা যাবে বিভিন্ন চেনা সিনেমার শুটিং-এর সেট এছাড়াও প্রজাপতি ও পাখিদের সংগ্রহশালা, জাপানিজ হাউস, বিভিন্ন রাইডস, লেসের-শো, ইত্যাদি। তবে এদের ঘোরার যে বাসগুলো হয় সেগুলোতেই ঘোরা বাঞ্চনীয় এবং দলছুট হলেই হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রবল, সারাদিন কাটবে যেহেতু তাই এখানে রয়েছে অসংখ্য খাবারের দোকান ও গিফ্টশপও। হায়দ্রাবাদ গেলে বিরিয়ানিতো খেতেই হবে তার সাথেও যেটা না খেলেই নয় সেটা হলো “চাটনিজ” দোকানের সব থেকে বড়ো ডোশা যার সাথে কমপ্লিমেন্টরিতে পেয়ে যাবেন প্রায় ১৫ রকমের চাটনি। ভালো কথা, আসার পথে মুক্ত কিনতে ভুলবেন না যেন।