আমুদরিয়া নিউজঃ প্রতি বছর রাস পূর্ণিমায় এখানে মনসা পূজা হয়। আর এই পূজাকে কেন্দ্র করে দুই দিনের মেলা বসে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের এই গ্রামে। অনেক দিন আগে এই স্থানেই মাটির নীচ থেকে উঠে আসে একটি ডিঙা। সেই থেকে স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে এটি চাঁদ সওদাগরের ডিঙা বলে প্রচলিত হয়ে গেছে! কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের কৃষ্ণপুরের ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চ্যাংমারি গ্রামে এই মনসা পূজার মেলা হয়ে থাকে। আশেপাশের গ্রামের মানুষ দুইদিনের এই মিলন মেলায় মেতে ওঠেন। বিএসএফ জওয়ানদের পাহাড়ায় এই মেলা হয়। মূলত আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষে কাটা তারের ভিতরে ভারত-বাংলা ছিট মহলে এই পূজা ও মেলা হয়। অনেক সময় সচিত্র পরিচয় পত্র দেখিয়ে ছিট মহলে থাকা চাঁদ সওদাগরের ডিঙা, মনসা পূজা দেখতে হয় এবং মেলা উপভোগ করতে হয়। তবে বিকেল ৪ টার পর যাতায়াত বন্ধ। তবে মাটি থেকে উত্থিত ডিঙা নিয়ে অনেকের কৌতূহল দেখা যায়।
এই বিষয়ে কথিত আছে, অনেকদিন আগে ওই ডিঙা মাটি থেকে উঠে আসে। তবে ডিঙা উঠে আসার আগে স্থানীয় একজনকে মনসা দেবী স্বপ্নাদেশ দেন যে, ওই ডিঙার উপরে তার মন্দির স্থাপন করে পূজা করতে। পরে ওই ব্যক্তি সেখানে মন্দির বানিয়ে মনসা পূজা করেন। সেই থেকে প্রতি বছর রাস পূর্ণিমায় এখানে মনসা পূজা ও মেলা হয়ে আসছে। এখানে চাঁদ সওদাগরের ডিঙা দেখতে ছুটে আসেন বহু মানুষ। প্রহরা দেওয়ার পাশাপাশি জওয়ানরা গ্রাম বাসীদের সহযোগিতা করে এই মেলার আনন্দে সামিল হয়।