আমুদরিয়া নিউজ ডেস্কঃ সর্বশক্তিমান আমাদের পৃথিবীকে সাজানোর সময় সৌন্দর্যের সমস্তটা ঢেলে দিয়েছেন। পৃথিবীর নানাদিকে কখনও তুষারাবৃত পাহাড়, কখনও রহস্যময়ী জঙ্গল, কোথায় অতল সমুদ্র কোথাও রুক্ষ মরুভূমি, প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সাথে জীববৈচিত্র তথা সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্রও রয়েছে প্রচুর। সেই বৈচিত্রের অমৃতলাভ-ই ভ্রমণের উদ্দেশ্য। বিপুল এই পৃথিবীর ক্ষুদ্র সংস্করণ কিন্তু আমাদের ভারতবর্ষ।
“উত্তরাঙ্গ যত সমুদ্রস্ব, হিমাদ্রিশচৈব দক্ষিনং, বর্ষঙ তং ভারতঙ নাম,ভারতী যত্র সন্ততি:”
-বিষ্ণুপুরানের এই শ্লোকটিতে উল্লেখ আছে ভারতের প্রাকৃতিক বৈচিত্রের বর্ণনা, যার সাথে রয়েছে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র। এবং ভারতের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ আমাদের পশ্চিমবঙ্গ, শুধুমাত্র মরুভূমি বাদ দিয়ে অন্যান্য সবকিছুই আমরা পেয়ে যাই আমাদের রাজ্যে।
আর দেরি না করে পাহাড়দিয়েই শুরু করি আমাদের ভ্রমণ। আজ একটি অফবিট জায়গার সন্ধান দেবো তোমাদের। জায়গাটির নাম টুরুক। টুরুকে যেতে হলে আমাদের যেতে হবে সিটং-এ। এন. জে. পি থেকে সিটং-এর দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার, গাড়িতে প্রায় আড়াই ঘন্টা। শেয়ার গাড়িতে যেতে হলে দার্জিলিংয়ের শেয়ার গাড়ি ধরতে হবে দিলারাম অব্দি, এবং সেখান থেকে চলে আসতে হবে টুরুকে, এখানে হোমস্টে রয়েছে। সিটং-এর এক প্রান্তে টুরুকের অবস্থান পাহাড়ের কোলে কাটানো এই অনন্যসুন্দর মুহুর্তগুলো সত্যিই রোজকারদিনের একেঘেয়েমোয় ভরা অশান্ত মনকে শান্ত করে। এখানে দেখা পাওয়া যায় হরিণ কিংবা তিতির পাখির, এছাড়াও মেঘমুক্ত আকাশ যদি পাওয়া যায় ভোরে, তবে কাঞ্চনজঙ্ঘার সূর্যোদয় দেখাও টুরিস্টদের সার্থক হবে, সাইডসিনের জন্য ঘুরে আসা যেতে পারে কমলালেবুর বাগান, মঘলদিরাম টি-এস্টেট, অহলধারা ভিউ-পয়েন্ট। টুরুক থেকে অহলধারা ভিউ পয়েন্টে পৌঁছানোর সময় চোখে পড়বে রহস্যময় পাইন গাছের বাগান। অহলধারা ভিউ পয়েন্টে টিকিট কাটতে হয় যার দাম মাথাপিছু ২০ টাকা। সব শেষে ছোটোখাটো ছুটি কিংবা সপ্তাহের শেষ ভাগকে মুগ্ধতার সাথে কাটানোর জন্য ঘুরে আসা যেতেই পারে আপার সিটং-এ অবস্থিত টুরুকে।