বছর শেষের দিনে হাতি ও চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ালো অসম বাংলা সীমানায় আলিপুরদুয়ার জেলার প্রান্তিক গ্রাম পাখড়িগুড়িতে। জানা গেছে সোমবার রাতে পাখড়িগুড়ি গ্রামের দিলিপ সাহার বাড়িতে হানা দেয় চারটি হাতি। বাড়িতে বেড়াহীন একটি ঘরে বস্তায় করে রাখা ছিলো পঞ্চাশ মন ধান। হাতিরা ধানের বস্তা ছিড়ে ধান খেয়ে ও ছড়িয়ে সমস্ত ধান নষ্ট করে দেয় বলে জানান দিলীপ সাহা। ধান দিয়ে হাতিদের ডিনার সারতে দেখে ভয়ে বাড়ির মহিলা ও শিশুরা জানালা দিয়ে পালিয়ে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নেন৷
এরপর হাতিগুলি কয়েকজনের আলু ক্ষেতে হানা দিয়ে আলুর ফসল নষ্ট করে দেয়। দিলীপ সাহা আরও জানান বাড়ি থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূর পর্যন্ত ধান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে গেছে হাতির দল। দিলীপ সাহার বাড়ি থেকে আনুমানিক দূশো মিটার দূরের জয়ন্ত সাহা এবং আরও কয়েকজন জানান তারা রাতে চিতা বাঘের গর্জন শুনতে পেয়ে ঢাক, টিন বাজিয়ে হৈ হৈ করায় চিতাবাঘ পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা খবর দেন বন দপ্তরের ভল্কা রেঞ্জে। বন কর্মীরা মঙ্গলবার সকালে গ্রামে যান এবং পায়ের ছাপ দেখে জানান হাতি ও চিতাবাঘের পায়ের ছাপ। তারা গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জানান খবর পেয়ে রাতেই তিনি তার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।
মোটরসাইকেলের আলোয় তিনি দূর থেকে দেখতে পেয়েছেন চিতাবাঘটি রাস্তার এপার থেকে লাফ দিয়ে ওপারে চলে গেছে। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান রেঞ্জার এর পরামর্শমতো গ্রামের সকলকে সতর্ক থাকার জন্য মাইক বাজিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।গ্রামের বয়স্করা জানান বছর কয়েক আগে গ্রামে হাতির হানা ঘটলেও চিতাবাঘের হানা এই প্রথম। গ্রামবাসীরা জানান তারা প্রচন্ড আতঙ্কে রয়েছেন । তাদের দাবি বন কর্মীরা নিয়মিত নজর।
সুকুমার রঞ্জন সরকার, কুমারগ্রাম