আমুদরিয়া নিউজ : ইনস্টাগ্রামে ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ফলোয়ার। সে হল নিউইয়র্কের বনাঞ্চলের একটি কালো কাঠবিড়ালি। পিনাট দ্য স্কুইরেল শিরোনামের অ্যাকাউন্টে রোজকার জীবনযাপন তুলে ধরতেন মার্ক লঙ্গো নামে এক ব্যক্তি। যিনি পিনাটকে ছোটবেলায় রাস্তার দার থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাণ বাঁচান। বোতলে দুধ খাইয়ে বড় করেন। তার পরে বাড়িতেই রাখতেন।
পশুপ্রেমী মার্কের বাড়িতে ছিল একটি রেকুন ডগও। ছোট্ট পশমি কুকুর। কিন্তু, আমেরিকার আইন অনুয়ায়ী, কাঠবিড়ালি, রেকুন ডগ বাড়িতে পোষা যায় না। তাই একদিন নিউইয়র্ক প্রশাসনের নির্দেশে কাঠবিড়ালি ও রেকু ডগকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরে প্রাণী দুটি কয়েকজনকে কামড়ে দেয়। দুজনের রেবিস পরীক্ষা করানো হয়। কারণ, রেকুন ডগের শরীরে জলাতঙ্কের জীবাণু থাকতে পারে। উপরন্তু, রেকুন ডগের মাধ্যমে করোনার প্রকোপ মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে বলেও একটি মত রয়েছে। এর পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাণী দুটিকে স্বেচ্ছামৃত্যুর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ২ নভেম্বর প্রাণী দুটিকে উদ্ধারের পরে সম্প্রতি দুটিকেই মেরে ফেলা হয়েছে। নিউইয়র্ক পরিবেশ সংরক্ষণ দফতরের পক্ষে বলা হয়, পিনাট ও রেকুন ডগটি অবৈধভাবে বাড়িতে রেখেছিলেন মার্ক। তাদের কামড়ে মানুষের মধ্যে জলাতঙ্ক সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। এই সমস্যা থেকে সুরাহার উপায় হিসেবেই সেই রেকুন ও পিনাটকে স্বেচ্ছামৃত্যুর ঘোষণা করা হয়।
পোষ্যের শোকে কাতর হয়ে মার্ক ডিইসিকে উদ্দেশ্য করে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, যাদের জন্য পিনাটের মৃত্যু হল, নরক তাঁদের সঠিক স্থান।
এখানেই শেষ নয়। এই হৃদয়বিদারক ছোট্ট প্রাণের স্বেচ্ছামৃত্যুতে জো বিডেনের প্রশাসনকে ‘হৃদয়হীন ঘাতক যন্ত্র’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন টেসলা সিইও ইলন মাস্ক। ইনস্টাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কাঠবিড়ালিদের প্রাণ বাঁচাতে অনুরোধ করেছেন তিনি। পরিবেশ সংরক্ষণের কর্মীরা অনেকে জানান, এভাবে কোনও প্রাণীকে বাড়িতে আটকে রেখে তার নামে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ফলোয়ার বাড়িয়ে ব্যবসা করার উদ্দেশ্য থাকলে তা কখনও সমর্থনযোগ্য নয়।