আমুদরিয়া নিউজ : গো-বন্দনা ঘিরে উৎসব। সেই উৎসব ঘিরে দেওয়াল চিত্র। তাতে ফুটে উঠেছে সমাজ জীবনের নানা ছবি। কোথাও ৩ দিন, তো কোথাও পাঁচ দিন। বৃহস্পতিবার কালীপুজোর দিন থেকে বাঁদনা পরবে মেতে ওঠেন পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের কৃষিজীবী সম্প্রদায়। এই পরবের নান্দনিক ছোঁয়ায় সাড়া দিতেই হাজির হচ্ছেন আলোকচিত্রী থেকে পর্যটকেরা।
বাঁদনা পরব আসলে আমন ধান বাড়িতে তোলার আগে গরু-গাভীদের বন্দনা করে কৃতজ্ঞতা জানানোর রীতি। এই পরবে বিভিন্ন ধরণের মাটি নিয়ে তাতে গোবর মিশিয়ে প্রথমে দেওয়াল শুকোতে দেন মহিলারা। তার ওপর প্রলেপ পড়ে খড়িমাটির। এই পরবের সঙ্গে প্রকৃতির নিবিড় যোগ থাকার কারণে প্রাকৃতিক রং দিয়ে নানা রকম নকশা ও গাছপালা আঁকা হয় খড়িমাটির সেই সাদা দেওয়ালে। বাকি রঙের মধ্যে কালো কাঠ, টায়ার, খড় পোড়ানো ছাই, ভুসাকালি থেকে তৈরি হয় কালো রঙ। লাল গেরু মাটি থেকে লাল। আলয়, বনক মাটি বা হলুদ থেকে হলুদ। জামাকাপড়ের নীল থেকে নীল। আর সিমের পাতা থেকে সবুজ।
জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, কালীপুজোর রাতে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে আসেন মহাদেব। গোয়াল ঘরে সারারাত ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখেন বাড়ির মহিলারা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘অহিরা’ গান করেন পুরুষেরা। বাঁদনা পরবে রঙিন হয়ে ওঠে মানভূম।