আমুদরিয়া নিউজ : বড়দিনে সান্তাক্লজ সেজে শিশু সহ সাধারণ মানুষকে আনন্দ দিয়ে আসছেন দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে। এবছর ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন আরও স্পেশাল ছিল। কোচবিহারের বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম কুন্ডুর এই উদ্যোগ প্রতি বছরই ক্রিসমাসে সাধারণ মানুষের প্রশংসা অর্জন করে থাকে। সান্তা সেজে বড়দিনে শিশুদের আনন্দ দেওয়ার তাঁর এই প্রয়াস এবছর ২৫ তম বর্ষ পূর্ণ হল। প্রতি বছরের মত এবছরও কোচবিহারের নরনারায়ণ পার্কে বড়দিনের উৎসবে সান্তাক্লজ সেজে সামিল হয়েছিলেন উত্তম বাবু। ছোটদের কেক, চকলেট, উপহার প্রদানের মধ্যে দিয়ে আনন্দ দেন তিনি। এদিন সান্তাক্লজকে নিয়ে কোচবিহারের এনএন পার্কে ছোট থেকে বড়ো সকলের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বড়দিনে সকলকে আনন্দ দানের পাশাপাশি কিছু সামাজিক বার্তা দিলেন সান্তাক্লজ। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ শিশুরা মোবাইলে প্রতি ক্রমশ আসক্ত হয়ে পড়ছে বলে তিনি জানান।
সান্তাক্লজ রূপী উত্তম বাবু এদিন বার্তা দেন যে, কোচবিহারে বইমেলা চলছে। প্রত্যেক অভিভাবক তাদের শিশুদের দুই একটি করে বই কিনে দিক। শিশুদের বইমুখী করা উদ্যোগ নিক। শিশুরা বই পড়ুক। শিশুদের বইমুখী করা গেলে মোবাইলে প্রতি তাদের ঝোঁক অনেকটা কমানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি এদিন সান্তাক্লজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দেন। বর্তমান সময়ে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় যেসব অশান্তি ও হানাহানি চলছে, তা বন্ধ হোক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন থাকুক,সেই বার্তা দেন সান্তাক্লজ। একই সঙ্গে এই মহৎ দিনে রক্ত দানের মত সমাজ সেবা মূলক কাজে জন সাধারণকে এগিয়ে আসার বার্তাও দেওয়া হয়।
বৃক্ষ ছেদন নয়, বৃক্ষ রোপণের মধ্যে দিয়ে এই ধরিত্রীকে বাঁচানোর আবেদন জানান সান্তাক্লজ। বড়দিন উপলক্ষে এদিন সেজে উঠেছিল কোচবিহারের এনএন পার্ক। ছুটির বড়দিনে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছিল পার্কে। তার উপর বাড়তি পাওনা বলতে ছিল সান্তাক্লজের সঙ্গে বড়দিনের আনন্দ উদযাপন করা। সব মিলিয়ে এদিন পার্কে আসা শিশুরা বড়দিনের আনন্দে মেতে ওঠে।