আমুদরিয়া নিউজ : সারা ম্যাকব্রাইড। ২০২০ সালে প্রথম ট্রান্স ওম্যান হিসেবে সিনেটে কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েন। চলতি বছরের ৫ই নভেম্বর মঙ্গলবার রিপাবলিক পার্টির প্রার্থী তৃতীয় জন হোয়ালেনকে ডেলাওয়ারের বিরাট সংখ্যক ভোটে হারিয়ে ফের নতুন করে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন সারা। নিউ ইয়র্কের সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সিনেটের ৬৩% ভোটের ৫৭.৬% ছিনিয়ে নিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছেন ৩৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।
এই খুশির খবর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে ম্যাকব্রাইড লিখেছেন, ধন্যবাদ ডেলাওয়ার! তোমাদের ভোট আর মূল্যবোধের জন্যই কংগ্রেসের পরবর্তী সদস্য হিসেবে আমি গর্বিত। দেশের সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্য, বেতনের ছুটি, শিশু সুরক্ষা বিষয়ে গণতান্ত্রিক রূপরেখা নিশ্চিত করে ডেলাওয়ার।
জনদরদী হিসেবে দৃষ্টান্ত গড়েছেন ম্যাকব্রাইড। তাঁর এই জয়কে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায় ও গোটা দেশের জন্য যুগান্তকারী বিপ্লব হিসেবে দেখছেন গ্ল্যাড প্রেসিডেন্ট সারা কেট এলিস। তাঁর মতে, রূপান্তরিত ও রূপান্তরকামীদের স্বাধীন হতে, নিজেদের মত করে প্রতিভা দেখাতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, তাঁদের পথ প্রশস্ত করেছেন ম্যাকব্রাইড। গ্ল্যাড প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ম্যাকব্রাইডের বলিষ্ঠ কণ্ঠ ও উপস্থিতিই প্রমাণ করে আমেরিকাকে সেরা প্রতিনিধিত্ব করে কংগ্রেস।
ট্রান্সদের নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আপত্তিকর মন্তব্য ম্যাকব্রাইডের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। তাঁর কথায়, ট্রান্স সম্প্রদায়কে যারা কথায় কথায় আক্রমণ করেন তারা পেশাদার উস্কানিদাতা। তাঁরা কখনোই ডেমোক্রাটের সাথে কাজ করবে না। তাঁদের দৌড় ঐ রিপাবলিকান সহকর্মীদের সাথে কাজ করার পরিধিতেই সীমাবদ্ধ।
নির্বাচনের আগেই ম্যাকব্রাইড আশা করেছিলেন, কংগ্রেসের হয়ে তাঁর মত এক ট্রান্স নারীই ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে পারবেন। একজন এলজিবিটিকিউ+ কমিউনিটির হয়ে সাম্যের লড়াই জারি রাখার খবর হয়তো সবাই জানেন, কিন্তু ম্যাকব্রাইড বরাবর বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন স্বল্প মূল্যে শিশুর যত্ন, চিকিৎসা সংক্রান্ত ছুটি, প্রজননের স্বাধীনতা সহ আরও অন্যান্য বিষয়ে।