আমুদরিয়া নিউজ : বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে ও অন্যান্য রাজ্যে অশান্তির কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এদিন আদালতে ওয়াকফের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৩ টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদন গুলি শোনার পর বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ প্রথমে কেন্দ্র সরকারের উদ্দ্যেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, হিন্দুদের সম্পত্তি সংক্রান্ত বোর্ডে সরকার কি কোনও মুসলিমকে সদস্য হতে দেবে? কারণ নতুন ওয়াকফ আইন অনুযায়ী তো অমুসলিমরাও বোর্ডের সদস্য হতে পারবেন। জেলাশাসক যদি সিদ্ধান্ত নেন যে, কোনটা ওয়াকফ আর কোনটা নয়, তা কি ঠিক হবে? আবেদন গুলি শোনার সময় তাঁদের দিকেও প্রশ্ন উঠে আসে যে, এই আবেদন গুলি কি আদেও হাইকোর্টে পাঠানো হবে? আবেদনগুলি শোনাকালীন আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, নতুন ওয়াকফ আইনটি সংবিধানের ২৬ নং ধারা লঙ্ঘন করেছে, যা আমাদের স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণের অধিকার দেয়। তিনি ওয়াকফ এর ব্যবহারকারীদের নিয়েও বলেন, এই ধারা ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ধারা অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে কোনও সম্পত্তি ধর্মীয় বা সেবার কাজে ব্যবহার করা হলে তা ওয়াকফ বলে ধরে নেওয়া হয় যা নথিভুক্তকরণ না হলেও চলে। পাল্টা প্রশ্নে বিচারপতি বলেন, আইনজীবীর কথা অনুযায়ী ওয়াকফ বাই ইউজার কোর্টের রায়ে হলেও এখন কি তা বাতিল করতে হবে?
এরপরই তাঁরা ৩ টি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন,
১। কোর্ট যে সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করবে, সেটাকে ওয়াকফ নয় বলে দাবি করা যাবে না।
২। যে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে, তা নিয়ে জেলাশাসক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চালাতে পারবেন। কিন্তু তাঁর কোনও নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে না।
৩। ওয়াকফ বোর্ড এবং ওয়াকফ কাউন্সিলের সদস্যদের অবশ্যই মুসলিম হতে হবে। যাঁরা শুধু পদাধিকার বলে ওয়াকফে যোগ দেবেন, তাঁরা অমুসলিম হতে পারেন।
তবে বিচারপতি বেঞ্চ এই নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জারি করেনি। ফলত আজ, বৃহস্পতিবারও এর শুনানি প্রক্রিয়া চলবে।