আমুদরিয়া নিউজ: আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের জয়দেবপুর, ধনতলি টাপু, তুরতুরিখন্ড, রায়ডাক, হাতিপোতা প্রভৃতি এলাকার মানুষদের কুমারগ্রাম বিডিও অফিস, কৃষি সহ অধিকর্তা, থানায় আসতে হলে পেরোতে হয় রায়ডাক দুই নম্বর নদী।নদীতে কোনো সেতু না থাকায় বাসিন্দাদের নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা নৌকা। বাসিনফারা জানান তারা রায়ডাক দুই নম্বর নদীর পশ্চিম তীরে বাস করেন। থানা, বিডিও অফিস, ব্লক কৃষি সহ অধিকর্তার দপ্তর গুলি নদীর পশ্চিমপারে কুমারগ্রামে অবস্থিত। তাদের এসব দপ্তরে কাজের জন্য আসতে হলে প্রায় পঁচিশ ত্রিশ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। তাই তারা ঘুরপথে না এসেরায়ডাক নদী নৌকায় পেরিয়ে আসেন। শুধু তাই নয় কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন জয়দেবপুর সহ বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় নদীর পূর্ব পারে।
বাসিন্দারা জানান বর্ষায় তাদের খুব সমস্যায় পড়তে হয় কারন তখন রায়ডাক নদী হয়ে ওঠে বিশাল ও ভয়ানক। নৌকা বন্ধ থাকও তারা অসুবিধায় পড়েন। তাদের অভিযোগ ষাট বছর ধপ্রে তারা দাবি জানিয়ে আসছেন সেতু নির্মানের জন্য। কিন্তু তাদের দাবি পূরন হয়নি। নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক দলের নেতারা আসেন, সেতু নিরত্মান সহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। নির্বাচন শেষে আর কেউ তাদের খোঁজ রাখেননা। তাদের দাবি অবিলম্বে সেতু নির্মান হোক। এ বিষয়ে কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা নলিত দাস বলেন প্রাক্তন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা এখানে সেতু নির্মানের জন্য পরিকল্পনা করেন কিন্তু রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করায় সেতু নির্মান হয়নি। অপরদিকে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ প্রকাশ চিম বরাইক অলে বিজেপি নেতার করা এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপি কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ না করেই কৃতিত্ব দাবি করে আর রাজ্য সরকারকে দোষারুপ করে। শাসক দল আর বিরোধী দলের।