আমুদরিয়া নিউজঃ ভরা পর্যটন মরশুম। এরই মধ্যে বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরে ডুয়ার্সে বেড়াতে যাবার প্ল্যান করেছেন অনেকেই। তাদের বেশির ভাগেরই হোটেল-রিসর্টে বুকিং ও অ্যাডভান্স করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বন দফতরের নোটিশ ঘিরে ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বড়দিনের আগে বৃহস্পতিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর ও বাফার এলাকায় থাকা হোটেল, রিসর্ট, হোম স্টে সহ সমস্ত ধরণের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ জারি শুরু করল বন দফতর। যার ফলে ডুয়ার্সের এই এলাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কে রয়েছেন। একই সাথে এই সব হোটেল-রিসর্টে সঙ্গে যুক্ত বহু কর্মীরা তাদের জীবিকা নিয়ে শঙ্কিত। আড়াই বছর আগে ২০২২ সালের ৫ মে বক্সায় হোটেল-রিসর্ট বন্ধের নির্দেশ দেয় গ্রীন ট্রাইব্যুনাল। সেই নির্দেশে বিরূদ্ধে স্থানীয়রা কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। প্রাথমিকভাবে গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞার উপর সার্কিট বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেয়। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ওই স্থগিতাদেশ ছিল। এর পর ৪ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানি ছিল। তবে নতুন করে ওই মামলায় আর স্থগিতাদেশ জারি করে নি হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। আর নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর ও বাফার এলাকায় থাকা হোটেল-রিসর্ট, হোম স্টে ইত্যাদি বন্ধ করতে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে বন দফতর।
বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার হোটেল-রিসর্ট বন্ধ করার নোটিশ জারি করা শুরু হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে। রাজা ভাত খাওয়ার বাফার এলাকাতেও নোটিশ বিলি করে বন দফতর। জানা গিয়েছে, বক্সায় ৪০ টির মতো হোম স্টে সহ অনেক হোটেল-রিসর্ট রয়েছে। এর সঙ্গে প্রচুর মানুষের জীবন জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয় কয়েক জন হোম স্টে মালিক জানান, এই হোম স্টে দিয়ে তাদের রুটি রুজি ব্যবস্থা হয়। এটাই তাদের প্রধান জীবিকা। বন দফতরের এই নোটিশের কথা জানতে পেরে তারা চরম অনিশ্চিয়তার মধ্যে। এই বিষয় নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। জানা গিয়েছে, গ্রীন ট্রাইব্যুনালের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন বক্সার পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশ।