আমুদরিয়া নিউজ: খেলার জগতের পরিধি পুরুষের ক্ষেত্রে বৃহৎ হলেও সে সময়ে সামাজিক সংস্কার আর বিধি-নিষেধের গণ্ডিতে মহিলারা ছিলেন কুয়োর ব্যাঙ হয়েই৷ সদ্য দেশ স্বাধীনের সেই সময়টাতে কখনও প্রকট, কখনও বা প্রচ্ছন্নভাবে প্রকাশ পেত বাঙালি পরিবারের মেয়েদের ঘিরে পর্দা প্রথা। ঘরের গণ্ডি টপকে বাইরে এসে খেলবেন, ধুলো মাখবেন মহিলারা! সবটাই ছিল কল্পনার অতীত। ভারতে তখন খেলা বলতেই শুধু ক্রিকেট, হকি আর ফুটবল। এই তিনের ধারে না গিয়েই সমস্ত বাধা জয় করে দৌড়েছিলেন ১৭ বছরের এক বাঙালি তরুণী নীলিমা ঘোষ।
হ্যাঁ, ১৯৫২ সালের হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে প্রথম ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিট হয়ে স্বপ্নের উড়ানে জায়গা করে নেন নীলিমা দেবী। ট্রাক এন্ড ফিল্ডে তিনি অংশ নিয়েছিলেন ১০০ মিটার দৌড় ও ৮০ মিটারের হার্ডলসে৷ সেই অলিম্পিকে অংশ নেন আরও এক ভারতীয় কন্যা, তিনি মেরি ডিসুজা৷ কিন্তু ১৩.৮০ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ের প্রথম হিটে ভারতের হয়ে ইতিহাস গড়েন নীলিমা। যদিও ফাইনালে উঠতে পারেননি তিনি৷ হিটের সেরা প্রতিযোগী ফ্যানী ব্লাঙ্কারের থেকে ২ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়ে ৮০ মিটার হার্ডলসের হিটে পঞ্চম স্থান দখল করেন। তবু যাবতীয় ছুঁৎমার্গকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেই যুগে দৌড়েছিলেন অলিম্পিকে। তা আজও জীবন্ত অনুপ্রেরণা আজকের ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিটদের। কারণ, সে কি ভোলা যায়!