আমুদরিয়া নিউজ ডেস্কঃ আরজিকর কান্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে রাজ্য। এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রথমেই খুন হওয়া চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মুখবন্ধ খামে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা করে সিবিআই। এরপর রাজ্য এবং অন্যান্য পক্ষের সওয়াল জবাবের সময়ই আরজি করে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন। প্রধান বিচারপতি জানতে চান দেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় সেই চালান কোথায়? সেই প্রশ্নের মুখে রাজ্যের তরফের আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রথমে দাবি করেন, কেস ডায়েরির সঙ্গেই চালানটি সিবিআইকে দিয়ে দেওয়ার কথা। তবে সিবিআই-এর তরফ থেকে সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, সেই চালান তাদের কাছে নেই। এরপরই কপিল সিব্বল চালানের খোঁজে সহকারী আইনজীবীদের সাহায্য চান। তবে সেই চালান আর মেলেনি।এদিকে জনস্বার্থ মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এদিন সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা অনুযায়ী, প্রথমে এফআইআর করে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক যেতে পারবে পুলিশের সঙ্গে। কিন্তু এখানে রাত পৌনে ১২টায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। গত ২৭ বছরের কর্মজীবনে আমি এমন মামলা দেখিনি।’ শুনানির সময় সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, ময়নাতদন্ত কখন করা হয়েছে, সেই সময়ের উল্লেখ নেই। যদিও রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, সব কিছু উল্লেখ রয়েছে। তখন শীর্ষ আদালতে এডুলজি বলেন, ‘দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ১০ বার জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। পুরোটা পরে তৈরি করা হয়নি তো? অনেক রহস্য রয়েছে।’ ময়নাতদন্ত নিয়ে সওয়াল-জবাবের সময় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘এই চালান ছাড়া দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গ্রহণ করা হয় না, তাহলে?’ তিনি আরও বলেন, ‘বলা হচ্ছে, মৃতার পা ৯০ ডিগ্রি কোণে ছিল। হাড় না ভাঙা থাকলে এটা কীভাবে হয়?’ সেই প্রশ্নের জবাবে কপিল সিব্বল বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কাছে যা তথ্য আছে তাতে ম্যাজিস্ট্রেট লিখিতভাবে যা দিয়েছেন তা ছাড়া কিছু নেই।’ পাল্টা প্রশ্নে বিচারপতি বলেন, ‘চালান ছাড়া কীভাবে ময়নাতদন্ত হল?’ এরপর রাজ্যের তরফে বলা হয়, ‘হাই কোর্টে যে কেস ডায়েরি দেওয়া হয়েছিল সেখানে চালান ছিল।’ সওয়াল-জবাব শেষে আদালতের তরফে জানান হয়, ‘পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ সেপ্টেম্বর, ওই দিন চালান আনতে হবে।’
