আমুদরিয়া নিউজ : দিনহাটা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি সংলগ্ন জমি ও প্রত্যুষা বাজারের জমি নিয়ে দিনহাটা পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছে। বৃহস্পতিবার, এই জমির সঠিক পরিমাপ ও চিহ্নিতকরণের জন্য ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের পক্ষ থেকে মাপজোক করা হয়। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, মোট 1.32 একর জমি চিহ্নিত হয়েছে, যা না পুরসভার, না পঞ্চায়েত সমিতির— এটি রাজ্য সরকারের জমি এবং এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত।
প্রত্যুষা বাজারের সূচনা প্রায় ত্রিশ- পঁয়ত্রিশ বছর আগে করেছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী কমল গুহ। সেই থেকে বাজারের রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন এবং ট্যাক্স সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করছে দিনহাটা পুরসভা। কিন্তু কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত সমিতি ওই জমির মালিকানা দাবি করে এবং সেখানে খুঁটি পুঁতে নিজেদের অধিকারের বার্তা দেয়, যার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। পঞ্চায়েত সমিতির অনুরোধে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর জমির পরিমাপ করে এবং স্পষ্ট করে জানায়, বিতর্কিত জমিটি সরকারি সম্পত্তি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপতি রায় জানান, পঞ্চায়েত সমিতি নিজেদের তহবিল বৃদ্ধি করতে বাজারের পাশে নতুন স্টল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল। সেই কারণেই জমি সংক্রান্ত বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছিল।
অন্যদিকে, দিনহাটা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, “পুরসভা দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যুষা বাজার পরিচালনা করে আসছে। পঞ্চায়েত সমিতির এই জমি দখলের প্রচেষ্টা অযৌক্তিক। বিষয়টি আইনত খতিয়ে দেখা হবে এবং যার প্রকৃত অধিকার, তারই নিয়ন্ত্রণ থাকবে।”
এ বিষয়ে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক কল্যাণ কুমার নাথ জানান, “পঞ্চায়েত সমিতির অনুরোধে জমির মাপজোক করা হয়েছে। তবে এটি পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির জমি নয়, এটি রাজ্য সরকারের সম্পত্তি। কাজেই, এখানে কারও একক মালিকানা থাকার সুযোগ নেই।”
এই পরিস্থিতিতে, প্রত্যুষা বাজার ও সংলগ্ন জমির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
প্রতিবেদক : হান্নান মোল্লা, দিনহাটা