আমুদরিয়া নিউজ : দেশের ৫ টি এমন জায়গা যেখানে গেলে আপনি সবচেয়ে বেশি সুন্দরভাবে রামনবমীর এই পবিত্র দিনটি উপভোগ করতে পারবেন,
রামজন্মভূমি অযোধ্যা
ভগবান রামের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত, অযোধ্যা হল রাম নবমী উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে সম্প্রতি সুদৃশ্য রামমন্দির উদ্বোধন রয়েছে। সেখানে উৎসবটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়। প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় অনেক দিন আগেই। গোটা শহর এবং মন্দিরগুলো ফুল ও আলোর মালায় সেজে ওঠে। এখানে একটি বিশাল মেলা ও শোভাযাত্রারও আয়োজন করা হয়।
রামসীতার বিয়ের স্থান রামেশ্বরম
তামিলনাড়ুর একটি ছোট্ট উপকূলবর্তী জায়গা রামেশ্বরম। ভগবান রামের নাম অনুযায়ী এই মন্দিরের নাম রাখা হয়েছিল। রামনবমী উদযাপন উপভোগ করার জন্য এটি অন্যতম সেরা জায়গা। রামায়ণ অনুযায়ী, এখান থেকেই ভগবান রাম এবং তাঁর সেনাবাহিনী রাজা রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য লঙ্কায় যান।
রামনবমীর সন্ধ্যায়, শ্রী কোঠান্ডরাম স্বামী মন্দিরটি সুন্দরভাবে সাজানো হয়। উৎসবের দিন, মন্দিরে ভগবান রাম এবং দেবী সীতার বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই অনুষ্ঠানটি দেখতে এখানে আসেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এই মন্দিরেই রাম ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ এবং শিবের একনিষ্ঠ ভক্ত রাবণকে হত্যা করার পাপ ধুয়ে ফেলার জন্য ক্ষমা এবং তাঁর আশীর্বাদ চেয়েছিলেন।
দেবী সীতার পুজা দেখতে সীতামারহি
রাম নবমী উৎসব উদযাপনের ভারতের আরেকটি প্রধান আকর্ষণ বিহারের এই সীতামারহি। এই শহরটিকে দেবী সীতার জন্মস্থান বলে মনে করা হয়। এই অঞ্চলের স্থানীয়রা অত্যন্ত উৎসাহের সাথে এই উৎসব উদযাপন করে। উৎসবের দিনে, দেবীকে সীতামারহি দেবী হিসেবে পূজা করা। শহরের মানুষ তাদের ঘরবাড়ি প্রদীপ দিয়ে আলোকিত করেন। ভগবান রাম এবং দেবী সীতার ভক্তিমূলক গান গায়। এ ছাড়াও, শহর জুড়ে ছোট ছোট মেলা বসে।
ভদ্রাচলমের কল্যাণোৎসবম
রাম নবমীর সময় তেলঙ্গানার ভদ্রাচলম গেলে ভাল লাগবে। আপনার চমৎকার আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা হবে। শ্রী সীতা রামচন্দ্র স্বামী মন্দির উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। বিশেষ করে ভগবান রাম এবং দেবী সীতার স্বর্গীয় বিবাহ, এই পবিত্র অনুষ্ঠান, রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান গুলি অগণিত ভক্তদের আকর্ষণ করে। মন্দির এবং শহরটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে মাইকে ভক্তিমূলক গান বাজানো হয়।
বনবাসকালের বাসভূমি পঞ্চবটী
রামনবমীর সময় মহারাষ্ট্রের নাসিকে যেতে পারেন। সেখানে পঞ্চবটী দেখতে গেলে ভাবগম্ভীর অভিজ্ঞতা হতে পারে। পুরাণ অনুসারে, রাবণ পঞ্চবটী থেকে সীতাকে অপহরণ করেছিলেন। পর্ণকুটি যা কি না রামের কুটির বলে উল্লিখিত, সীতা গুফা যা কি না সীতার গুহা হিসেবে লিখিত রয়েছে নানা পৌরাণিক বইয়ে। তাই এই এলাকাটি উৎসবের একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র হয়ে ওঠে। শ্রী কালরাম মন্দিরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং ভক্তিমূলক সমাবেশ হয়।