আমুদরিয়া নিউজ ডেস্ক : স্বপ্নেও দুজন মানুষের মধ্যে বার্তা বিনিময় সম্ভব! হ্যাঁ। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক এটা হাতে-কলমে করে দেখিয়েছেন। সেখানকার একটি স্টার্ট আপ সংস্থার নাম আর ই এম স্পেস। মূলত মানব জীবনে অপরিহার্য অঙ্গ ঘুম বিষয়ক গবেষণা করে থাকে এই সংস্থা। যাতে নির্বিঘ্নে, শান্তিতে ঘুমোনো যায়। সেই সঙ্গে স্বপ্ন নিয়েও চালায় গবেষণা। আর স্বপ্ন তো তখনই দেখা সাধারণত সম্ভব, যখন নির্বিঘ্নে ঘুম হয়।
দুজনকে গবেষণাগারের বিছানায় শুতে বলা হয়। তার আগে তাদের শরীরে লাগিয়ে দেওয়া হয় নানা যন্ত্র। যার মাধ্যমে তরঙ্গের সাহায্যে বোঝা যাবে দুজনের ঘুম কোন পর্যায়ে, তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন কি না। কিন্তু কি বিষয়ে স্বপ্ন দেখা হচ্ছে সেই আভাস যন্ত্র তো দিতে পারে না। কিন্তু একজন স্বপ্ন দেখা শুরুর কিছুক্ষণ পরে যন্ত্রের তরঙ্গের মাধ্যমে জিলাক বলে একটি শব্দ হয়। ওই শব্দটিকে বার্তা হিসেবে স্বপ্ন দেখছিলেন যিনি তাঁর কানের কাছে ফিসফিস করে শোনানো হয়। প্রথম জন সেটি শুনেই ঘুমের ঘোরে একটু জোরে তা বলে ওঠেন। তাঁর কণ্ঠস্বর সঙ্গে সঙ্গে সেন্সর রেকর্ড করে সার্ভারে পৌঁছে দেয়। এর ঠিক ৮ মিনিট পর স্বপ্ন দেখা শুরু করেন দ্বিতীয় ব্যক্তি। তারপর সময় বুঝে সার্ভার সেই জিলাক শব্দটি তাঁর কানে বার্তা হিসাবে পাঠায়। দ্বিতীয় জন তা শোনেন এবং জিলাক বলে ওঠেন। পরীক্ষা শেষ হলে দুজনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে জানতে চাওয়া হয়, ঘুমের মধ্যে তাঁরা কি শুনেছেন। দুজনেই জানান, তাঁরা স্বপ্নের মধ্যে জিলাক শব্দটি শুনেছেন!
আর ই এম স্পেস জানিয়েছে, তারা তাদের পরীক্ষার বিষয়বস্তু অন্যান্য বিজ্ঞানীদেরও পাঠিয়েছেন। সার্বিক অনুমোদন পেলে তাঁদের গবেষণা স্লিপ-সায়েন্সের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ধাপ হিসাবে গণ্য হবে বলে দাবি তাঁদের।
এই গবেষণা স্বীকৃতি পেলে আগামী দিনে চিকিৎসা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি নানা ক্ষেত্রে স্বপ্ন সংযোগের ফল পেতে পারে। খুলে যেতে পারে স্বপ্নের এক নতুন দিগন্ত।
অন্তরা মোদক, শিলিগুড়ি